চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে লেনোভোর আধিপত্য, দ্বিতীয় স্থানে এইচপি
অন্যদিকে লেনোভোর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচপি। বৈশ্বিক পিসির বাজারে সরবরাহের ২২ দশমিক ৯ শতাংশ শেয়ারের দখল নিয়ে লেনোভের পরই দ্বিতীয় অবস্থান এইচপির। এইচপির পরের অবস্থান রয়েছে আরেক মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডেল টেকনোলজিসের। ডেলের হাতে রয়েছে বৈশ্বিক পিসির বাজারে মোট সরবরাহের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার। লেনোভো, এইচপি ও ডেল টেকনোলজিসের পরই বিশ্বব্যাপী পিসি সরবরাহের ৮ শতাংশ শেয়ারের দখল নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে অ্যাপল ও সরবরাহের ৫ শতাংশ শেয়ারের দখল নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে অ্যাসার। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী পিসি সরবরাহ পৌঁছেছে ৮ কোটি ৪০ লাখ ইউনিটে, যা গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ৮ শতাংশ কম।
এদিকে, বছরের প্রথম প্রান্তিকের ক্রমবর্ধমান পিসির চাহিদা হ্রাসের হারে ২০১২ সালের পর থেকে এ স্বল্প পরিমাণ হ্রাসের হার তেমন দেখা যায়নি বলে আইডিসি প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে সাধারণত ৭ দশমিক ৫ শতাংশ চাহিদা হ্রাস পায়। আইডিসির বিশ্বব্যাপী প্রান্তিক সময়ের হিসাব অনুযায়ী ব্যক্তিগত কম্পিউটার ডিভাইস ট্র্যাকার এর তথ্য অনুযায়ী এমনটা দেখা যায়।
আইডিসির মোবাইল ডিভাইস ট্র্যাকার বিষয়ক গবেষণা ব্যবস্থাপক জেতিশ উর্বানী জানান, কভিড পরিস্থিতির কারণে গত বছরের অসম্পূর্ণ চাহিদাগুলো চলতি বছর স্থানান্তর ও বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ায় বছরের প্রথম প্রান্তিকে পিসি শিপমেন্ট হ্রাসের হার কমে এসেছে। তিনি আরো জানান, বাজারে তৈরি উপকরণের জোগান হ্রাস ও সরবরাহ ইস্যুর মতো কিছু ইস্যু বিশ্বব্যাপী পিসির গড় বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধিতে যথেষ্ট প্রভাব রেখেছে। এসব পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবেলা করে বৈশ্বিক পিসির বাজার টিকে আছে।

কোন মন্তব্য নেই