ভালো ব্যবসা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও টেক্সটাইলস - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ভালো ব্যবসা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও টেক্সটাইলস

 

চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে জুলাই-মার্চ) ভালো ব্যবসা করেছে স্কয়ার গ্রুপের তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড। এ সময়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৯ শতাংশ এবং স্কয়ার টেক্সটাইলসের বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ। পাশপাশি এ সময়ে কোম্পানি দুটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফায়ও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।


গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার টেক্সটাইলসের পর্ষদ। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ২২ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৩৬৪ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ১২ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ টাকা ৮৫ পয়সা।


এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৫ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৩৬১ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩৬ পয়সা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৮ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৪৩ পয়সায়।


চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার টেক্সটাইলসের বিক্রি হয়েছে ৯৪০ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৭৮১ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ । আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ২৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্কয়ার টেক্সটাইলসের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা।


এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্কয়ার টেক্সটাইলসের বিক্রি হয়েছে ৩৯৬ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ২৪৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৬০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে তিন গুণ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ১৩ পয়সায়।

জানতে চাইলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার টেক্সটাইলসের হিসাব এবং অর্থ বিভাগের প্রধান মো. কবীর রেজা বণিক বার্তাকে বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবসায় বরাবরের মতোই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে টেক্সটাইলসের ব্যবসা গত বছর খারাপ থাকলে এবার ভালো করেছে। এর কারণ হচ্ছে গত বছর কভিডের জন্য মার্চে ব্যবসা করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার আমাদের ব্যবসা হয়েছে। তাছাড়া গতবারের চেয়ে এবার বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। বিএমআরইর কারণে আমাদের সক্ষমতা ও উৎপাদন দুটোই বেড়েছে। সব মিলিয়েই চলতি হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে আমাদের টেক্সটাইল খাতে ভালো ব্যবসা হয়েছে।


১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বর্তমানে অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।


২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার টেক্সটাইলসের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১৯৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫১৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

কোন মন্তব্য নেই