ফেরী ঘাটে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল
ঈদ সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরিতে করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার (৭ মে) সকালে বেশ কিছুক্ষণ যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ফেরিতে কোনো যানবাহন উঠতে পারেনি।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী কোনো যানবাহন ছাড়াই ১২শ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা ১১টার দিকে ফেরিটি শুধু যাত্রী নিয়ে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে পোঁছায়। মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে অস্বাভাবিক হারে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ঢাকার যাত্রীবাড়ি থেকে খুলনাগামী আসলাম বলেন, একদিকে ভিড় অন্যদিকে প্রচন্ড রোদ আর গরম। মাস্ক পরে থাকা যায় না। তবুও মাস্ক পরে আছি। এত গাদাগাদির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি কী আর ঠিক রাখা যায়।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরি ঘাট সূত্রে জানা যায়, ছুটির দিন থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ ছিল। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এই নৌরুটে রোরোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরীতে কমপক্ষে ১২শ যাত্রী ছিল। ফেরিটিতে কোনো গাড়ি পার হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন থেকে ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ঘাটে যাত্রীদের চাপ থাকবে। আজ (শুক্রবার) সকালে একটি রোরো ফেরিতে কোনো যানবাহন ছাড়াই শিমুলিয়া ছেড়ে এসেছে। সারাদিনই যাত্রীদের বেশ চাপ ছিল। শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়াত আহম্মেদ বলেন, ঈদ সামনে রেখে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ প্রচণ্ড। যাত্রীদের কারণে ফেরিগুলোতে গাড়ি লোড করা যাচ্ছে না। ফেরি ঘাটে এলেই যাত্রীরা তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ১৩টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পার হচ্ছে। অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে খেতে হচ্ছে হিমশিম। মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। এত বলাবলি করেও যাত্রীদের সচেতন করা যাচ্ছে না।
কোন মন্তব্য নেই