বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা



করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের মধ্যেই উত্থানের মধ্য দিয়ে তৃতীয় সপ্তাহ পার করেছে দেশের উভয় পুঁজিবাজার। সপ্তাহ শেষে সূচক ও লেনদেনের সঙ্গে উভয় এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ শেয়ারদর বেড়েছে।


বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ কোটি ৮১ লাখ ৭২ হাজার ১৩০ টাকা, যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮০১ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৩ হাজার ৬৭১ টাকা বা দশমিক ৫১ শতাংশ।


বাজার মূলধনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকা। যেখানে তার আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৯ টাকা। সে হিসাবে টাকার অংকে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৬২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৪১৯ টাকা বা ২৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।


এদিকে গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও বেড়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪২ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ছিল ৮৫১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৮ টাকা। সে হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে ২১২ কোটি ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৪ টাকা বা ২৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।


সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৬২ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৫ হাজার ৪৩৫ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ ২৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ২ হাজার ৮৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৯ দশমিক ৮২ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ২৩৭ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট।


গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১৪৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির আর লেনদেন হয়নি পাঁচটির।


খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস খাত। ৭ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের। আর ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে আর্থিক খাত।


দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫১ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৬০৪ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকা।


সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকার। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৪ টাকার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৮৪ শাতংশ।


গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২১ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৪৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৫ হাজার ৭২৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১২৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির।

কোন মন্তব্য নেই