কনমেবলের সমালোচনা করে নিষেধাজ্ঞা ভোগ করলেন বলিভিয়ার ফুটবলার
অনেক তালবাহানার পর করোনা বিপর্যস্ত ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকার আয়োজক করে কনমেবল। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের অপটু সিদ্ধান্তের নজির দৃশ্যমান, আক্রান্ত হয়েছেন অংশগ্রহণকারী অনেক দেশের ফুটবলাররা। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন বলিভিয়ার মার্সেলো মার্টিন্স। আর সে কারণে এই স্ট্রাইকারকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ২০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
আসর শুরুর আগে বলিভিয়ার তিন খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হন। তারমধ্যে ছিলেন মার্টিন্সও। যেকারণে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে দলের ৩-১ ব্যবধানে হারের ওই ম্যাচে ছিলেন না মার্টিন্স।
কোপা আমেরিকার আসরটি মূলত গত বছর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবে এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। যৌথভাবে আয়োজক করা হয় কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনাকে।
এরপর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কলম্বিয়া ও করোনার প্রকোপ বৃদ্ধিতে আয়োজক হতে সরে দাড়ায় আর্জেন্টিনা। এরপর আরেক করোনা পর্যুদস্ত দেশ ব্রাজিলকে ভেন্যু করে কনমেবল। শেষ মুহূর্তে এসে এমন দেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনমেবলের কড়া সমালোচনা করেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী মার্টিন্স।
‘এমনটা করার জন্য ধন্যবাদ কনমেবল। দায় পুরোটাই তোমাদের। যদি কেউ মারা যায়, কী করবে তোমরা? তোমাদের কাছে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলে অর্থ। একজন খেলোয়াড়ের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই?’
ইনস্টাগ্রামের এই পোস্ট অবশ্য পরে তিনি মুছে ফেলে ক্ষমাও চান। এরপরও শাস্তি এড়াতে পারেননি।
মূলত আর্থিক কারণেই টুর্নামেন্ট বাতিল বা স্থগিত করে দিতে অনীহা ছিল কনমেবলের। ২০১৯ সালে ব্রাজিলে হওয়া টুর্নামেন্ট থেকে আয় ছিল ১১.৮ কোটি ডলার, যা ছিল সংস্থাটির আয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস। এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের পাওয়ার কথা অন্তত ৪০ লাখ ডলার করে, চ্যাম্পিয়ন দলের বাড়তি পুরস্কার ১ কোটি ডলার।
শনিবার ভোরে চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে নিষিদ্ধ ছিলেন মার্টিন্স। আগামী শুক্রবার উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খেলায় বাধা নেই এই ফুটবলারের।
কোন মন্তব্য নেই