ভারতে স্মার্টওয়াচ বিক্রি ২০৬ শতাংশ বেড়েছে
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বাজার শেয়ার নিয়ে শীর্ষ ব্র্যান্ড ছিল নয়েজ। ব্র্যান্ডটির বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে বাজারে আসা কালারফিট প্রো ২ ছিল কোম্পানিটির সবচেয়ে বেশি বিক্রীত মডেল। কালারফিট প্রো ৩ ও নয়েজফিট অ্যাকটিভ উন্মোচনের মাধ্যমে বাজারে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে নয়েজ।
এক-পঞ্চমাংশ বাজার শেয়ারের মাধ্যমে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বোট। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যান্ডটির প্রান্তিকওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ শতাংশ। কোম্পানিটির বোট স্টর্ম স্মার্টওয়াচটি ছিল দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভারতে সর্বোচ্চ বিক্রীত স্মার্টওয়াচ। নতুন নতুন ফিচারসহ এক্সটেন্ড ও এক্সপ্লোরার স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে শীর্ষ ব্র্যান্ড নয়েজের সঙ্গে ব্যবধান কমাচ্ছে ভারতীয় এ ব্র্যান্ডটি।
২৪৩ শতাংশ প্রান্তিকওয়ারি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ফায়ার বল্ট। তরুণদের মধ্যে জায়গা করে নিতে অভিনেতা ভিকি কৌশলকে নিজেদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানিয়েছে ফায়ার বল্ট।
অ্যামেজফিটের বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। ৫ হাজার রুপি ও তার ওপরের প্রাইস রেঞ্জে শীর্ষস্থান অ্যামেজফিটের। স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে রিয়েলমির বাজার বছরওয়ারি সংকুচিত হয়েছে ৫৮ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে দুটি নতুন মডেলের স্মার্টওয়াচ উন্মোচনের মাধ্যমে নিজেদের বাজার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে চীনা ব্র্যান্ডটি। গ্যালাক্সি ওয়াচ অ্যাকটিভ ২-এর চাঙ্গা বিক্রির জেরে বছরওয়ারি ১১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখেছে স্যামসাং। রেডমি ওয়াচের মাধ্যমে ৫ হাজার রুপির সেগমেন্টে প্রবেশ করেছে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট শাওমি। সিরিজ ৬ ও এসইর চাঙ্গা বিক্রিতে অ্যাপলের বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ওয়ানপ্লাস ওয়াচ লঞ্চের মাধ্যমে ভারতের স্মার্টওয়াচ বাজারে প্রবেশ করেছে ওয়ানপ্লাস।
সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট আশিখা জৈন বলেন, ভারতের স্মার্টওয়াচ বাজার একটি বুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং দিনকে দিন নতুন নতুন ব্যবহারকারী এতে যুক্ত হচ্ছে। প্রথাগত ঘড়ির বিকল্প হিসেবে দাঁড়ানোর পাশাপাশি স্মার্টফোনের সম্পূরক হিসেবে দাঁড়াচ্ছে স্মার্টওয়াচ। স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে। ভারতের বাজারে শীর্ষ তিনটি ব্র্যান্ডই দেশীয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে তিন-পঞ্চমাংশ বাজার শেয়ার। স্থানীয় উৎপাদন নিয়ে জৈন আরো বলেন, আমরা দেখছি কীভাবে অন্যান্য বৈদেশিক কোম্পানিও ভারতে উৎপাদন চালু করেছে। ২০২০ সালের জুন থেকেই ভারতে নিজস্ব স্মার্টওয়াচ তৈরি করছে স্যামসাং। রিয়েলমি, মোলাইফ ও টাইমেক্সের মতো অন্যান্য বিগ প্লেয়ারও খরচ কমাতে স্থানীয় উৎপাদনে জোর দিচ্ছে।
স্মার্টওয়াচের বাজার মূল্য ফিচার নিয়ে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হারশিত রাস্তোগি বলেন, ৫ হাজার রুপির মধ্যে আমরা অনেক স্মার্টওয়াচ বাজারে আসতে দেখছি। ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ প্রাইস রেঞ্জের মধ্যে ছিল মোট স্মার্টওয়াচের ৮৩ শতাংশ। ২০২০ সালের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৬৭ শতাংশ।
কোন মন্তব্য নেই