ইউটিউবের প্রিমিয়াম ও মিউজিক গ্রাহক পাঁচ কোটি ছাড়িয়েছে
গুগল পাঁচ কোটি গ্রাহকের কথা বললেও এর কতজন প্রিমিয়াম সেবা ব্যবহার করছেন, কতজন মিউজিক সেবা ব্যবহার করছেন আর কতজন এক মাসের ফ্রি-টায়াল ব্যবহার করছেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। তবে এক ব্লগ পোস্টে নিজস্ব সেবাকে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা মিউজিক-গ্রাহক সেবা বলে আখ্যা দিয়েছে গুগল। বাজারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তুলনা করলে ইউটিউবের অগ্রগতি লক্ষণীয়। স্পটিফাইয়ের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি। অন্যদিকে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রযুক্তি বিভিন্ন খাতে গুগলের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অ্যাপলের মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা অ্যাপল মিউজিকের গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ৮০ লাখ।
ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়ামের মাসিক খরচ ১০ ডলার করে। ব্যবহারকারী বিজ্ঞাপন ছাড়াই ইচ্ছা মতো গান শুনতে এবং ডাউনলোড করতে পারেন এ সেবায়। ইউটিউব প্রিমিয়ামের খরচ মাসে ১২ ডলার। এতে ইউটিউব মিউজিকের সব সেবার পাশাপাশি অন্যান্য ভিডিও দেখা ও ডাউনলোড করা যায় বিজ্ঞাপন ছাড়া। প্রিমিয়াম গ্রাহকরা অন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহারের সময় বা ফোন লক রেখেও পেছনে ভিডিও চালিয়ে রাখতে পারেন।
অল্প সময়ে গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটির বেশি বাড়ার পেছনে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি গুগল। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে ইউটিউব মিউজিক এবং প্রিমিয়াম সেবার গ্রাহক সংখ্যা যখন প্রকাশ করেছিল, ঠিক ওই সময়ে প্লে মিউজিক সেবা বন্ধ করে দিচ্ছিল গুগল। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী গুগল প্লে এবং ইউটিউব মিউজিক মিলিয়ে গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লাখ ছিল বলে জানিয়েছে ভার্জ। গ্রাহক নিয়ে ইউটিউব বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় ব্যবহারকারীদের ওই সেবার প্রতি ঝোঁকার একক কোনো কারণ চিহ্নিত করা কঠিন কাজ। তবে কেবল সংখ্যার হিসাবে বিবেচনা করলে ইউটিউবের সেবা দুটির অগ্রগতি লক্ষণীয়। অন্যদিকে স্ট্রিমিং বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সেবা দিলেও এ খাতে যে আরো ব্যবসার সুযোগ আছে, সেটাই ইউটিউবের সাফল্য থেকে স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

কোন মন্তব্য নেই