যৌথ চিপ কারখানা স্থাপনে আগ্রহী টিএসএমসি ও সনি
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কুমামাতোতে কারখানাটি স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে। সেখানে গাড়ির জন্য সেমিকন্ডাক্টর, ক্যামেরা ইমেজ সেন্সর ও অন্যান্য পণ্য তৈরির কথা রয়েছে। গত বছর থেকে শুরু করোনা মহামারীতে বৈশ্বিক চিপ সংকট তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে গাড়ি শিল্প, স্মার্টফোন, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী থেকে শুরু করে পুরো শিল্প খাতে। মহামারীর তিক্ত অভিজ্ঞতা হজম করে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলো চিপ নির্মাণে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে। কেবল তাইওয়ান বা দক্ষিণ কোরিয়ানির্ভরতা কমিয়ে অনেক দেশই নিজ নিজ দেশে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে।
চিপ নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে জাপানের অংশগ্রহণ থাকলেও বৈশ্বিক চিপ সরবরাহে তাইওয়ানভিত্তিক টিএসএমসি কিংবা দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক স্যামসাংয়ের কাছে নেতৃত্ব হারিয়েছে। অটো চিপ স্বল্পতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর মতো জাপানের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোও ধুঁকছে। টিএসএমসির সঙ্গে অংশীদারিত্ব তাদের প্রধান এ শিল্প খাতের জন্য উপকার হবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন চিপ কারখানাটিতে উৎপাদন কাজ চালু করতে চায় জোটটি।
এ বিষয়ে সনি ও টিএসএমসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশ্য গত জুলাইয়ে তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি জানিয়েছিল, তারা জাপানে একটি চিপ কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে।
চিপ নির্মাণ কার্যক্রম তাইওয়ানভিত্তিক রাখার সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে সচেতন টিএসএমসি। যেকোনো সময় চীনের দখলে চলে যাওয়ার ঝুঁকি কিংবা কারখানায় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ওয়াকিবহাল টিএসএমসি। তাছাড়া করোনাকালে সাপ্লাই চেইনে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তাতে স্রেফ তাইওয়াননির্ভর কারখানা কার্যক্রমের ঝুঁকি আমলে নিতে হচ্ছে।
তাছাড়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানও সাপ্লাই চেইনে সংকটের ফলে যে পরিণতি আসে সে ব্যাপারে সতর্ক। চিপ নির্মাণ উপকরণ স্বল্পতা এবং চাহিদামাফিক চিপ সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়ায় জাপানের গাড়ি ও ইলেকট্রনিকস শিল্পসহ প্রধান শিল্প খাতগুলো ধুঁকছে। এ কারণে টিএসএমসির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জাপানেই নতুন চিপ নির্মাণ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে সনি।
কোন মন্তব্য নেই