মানবদেহে প্রথমবারের মতো জিন বদলে দেওয়া শূকরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন
মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বেনেটের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকরা শূকরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনকেই ‘শেষ উপায়’ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। তবে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের পর দীর্ঘ মেয়াদে তিনি কেমন থাকবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অবশ্য চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিন দিন আগে শেষ হওয়া ওই অস্ত্রোপচারের পর থেকে ভালোই আছেন বেনেট।
অস্ত্রোপচারের এক দিন আগে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বেনেট বলেছিলেন, ‘হয় মরতে হবে নয়তো প্রতিস্থাপন করতে হবে। আমি জানি এটা হচ্ছে অন্ধকারে ঢিল ছোড়া, কিন্তু এটাই আমার শেষ ভরসা।’
অস্ত্রোপরের জন্য ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের বিশেষ অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কারণ এই প্রতিস্থাপন করা না হলে বেনেট মারা যেতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
বেনেটকে মানব হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য অযোগ্য বলে গণ্য করা হয়েছিল। কারণ মানবদেহের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করার মত শারীরিক অবস্থা তার ছিল না। এরপরই জিন বিন্যাস বদলে দেওয়া শূকরের হৃদপিণ্ড ব্যবহারের বিষয়টি আসে।
বছরের পর বছর গবেষণা করে চিকিৎসকদের এই দলটি প্রতিস্থাপনের কাজটি করেছেন। এর মাধ্যমে বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনলেন তারা।
এক বিবৃতিতে চিকিৎসক দলের সদস্য সার্জন বার্টলি গ্রিফিথ বলেছেন, এই অস্ত্রোপচার হয়তো বিশ্ব ‘অঙ্গ স্বল্পতা সংকট সমাধানে এক ধাপ এগুলো।’
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থেকে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছে এক লাখের বেশি মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই