ন্যাশনাল ব্যাংককে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ন্যাশনাল ব্যাংককে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা

 

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আলোচিত কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংকের অধীন সিকদার পরিবারের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য গোপন ও অর্থপাচার করায় ব্যাংকটিকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


এছাড়া ব্যাংকটির কার্ড বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ, দুটি শাখার এডি লাইসেন্স বাতিলসহ ব্যাংকটির পরিচালক রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব বন্ধ কেন করা হবে না তাও জানতে চেয়েছে ব্যাংক খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।




ন্যাশনাল ব্যাংককে সম্প্রতি এই সংক্রান্ত্র চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চিঠির জবাব দিতে ১৫ দিন সময় চেয়েছে ব্যাংকটি।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, সম্প্রতি ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের কারণে তাদের ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে ন্যাশনাল ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে নানা জালিয়াতির তথ্য উঠে আসে। তদন্তে দেখা যায়, ন্যাশনাল ব্যাংকের ইস্যু করা ১১টি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ১১৭ কোটি টাকা পাচার করেছে সিকদার পরিবার।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণভাবে ভ্রমণ কোটায় দেশের বাইরে বছরে ১২ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করার সুযোগ রয়েছে। এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করে সিকদার পরিবারের ৯ জন সদস্য ও সিকদার গ্রুপের দুই কর্মকর্তার নামে ইস্যু করা কার্ডের বিপরীতে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত এক কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার ৫২৯ ডলার খরচ করেছে। অনুমোদিত সীমার বাইরে এই খরচ আইন অনুযায়ী অর্থপাচার। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল সময়ে এই খরচের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) গোপন করেছে ব্যাংকটি। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।




ক্রেডিট কার্ডে সীমার চেয়ে বেশি খরচ করা সিকদার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের ছেলে ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার। আরও আছেন জয়নুল হকের তিন সন্তান দিপু হক সিকদার, মমতাজুল হক ও লিসা ফাতেমা হক। রিক হক সিকদারের দুই ছেলে জন হক সিকদার ও শোন হক সিকদার, নাসিমা হক সিকদারের মেয়ে মনিকা সিকদার খান এবং জেফরি সিকদার রয়েছেন এ তালিকায়। এছাড়া সিকদার গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সৈয়দ কামরুল ইসলাম ও গ্রুপের কর্মকর্তা ভারভারা জারিনাও সীমার বেশি খরচ করেছেন।


পরিদর্শনের আলোকে গত নভেম্বরে ব্যাখ্যা চাওয়ার পর গত ২ ডিসেম্বর ব্যাংকের জবাবে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের মৌখিক অনুরোধ এবং ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সুপারিশে ভ্রমণ কোটার সীমার বাইরে ডলার খরচের সুবিধা দেওয়া হয়। তবে ব্যাংকের এ জবাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সন্তোষজনক না হওয়ায় ২২ ডিসেম্বর আবারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। পরবর্তী জবাবও সন্তোষজনক না হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই