ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের প্রতি আগ্রহ বেশি বিনিয়োগকারীদের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের প্রতি আগ্রহ বেশি বিনিয়োগকারীদের



গত সপ্তাহে মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এ সময়ে শেয়ার কেনার পাশাপাশি বিক্রির প্রবণতাও ছিল লক্ষণীয়। বিশেষ করে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। ফলে গত সপ্তাহে ইতিবাচক রিটার্নের শীর্ষে ছিল খাতটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে।


বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে সূচকটি ৭ হাজার ৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৭ হাজার ২৪ পয়েন্টে। সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজ, রেনাটা ও তিতাস গ্যাসের শেয়ার।


গত সপ্তাহে ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৫০৪ পয়েন্টে।


গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৬ হাজার ৬১৭ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৬ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।


গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১২ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ খাত। প্রকৌশল খাত ১১ দশমিক ৭ শতাংশ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। পরের অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৯ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে থাকা সাধারণ বীমা খাতের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।


ডিএসইতে খাতভিত্তিক ইতিবাচক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে রিটার্ন এসেছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। এরপরে রয়েছে সাধারণ বীমা এবং সেবা ও আবাসন খাত, ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতে ইতিবাচক রিটার্ন হয়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে গত সপ্তাহে ২ দশমিক ৩ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।


সূচক ও লেনদেনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনও বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহ শেষে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ৮১ শতাংশ।


সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ২৮৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ২৩৪ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই  দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে ২০ হাজার ৭৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২০ হাজার ৫৭৬ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে মোট ৩৪৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৩টির। কমেছে ১১৯টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির শেয়ারদর।

কোন মন্তব্য নেই