মালয়েশিয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে ঈদের নামাজ আদায়
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮ টায় দেশটির জাতীয় মসজিদ (নেগারায়) অনুষ্ঠিত হয় সর্ববৃহৎ ঈদের নামাজ। নামাজ শুরুর অনেক আগেই মুসল্লিদের আগমনে কানায় কানায় ভরে যায় দেশটির জাতীয় মসজিদ (মসজিদ নেগারা) ও এর চারপাশ।
নামাজ শুরুর আগে বয়ান পেশ করেন জাতীয় মসজিদ নেগারার প্রধান ইমাম তুন হাজী এহসান বিন মোহাম্মদ হোসনি।
মহামারি করোনার কারণে বিগত দুই বছর সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধে নিষ্প্রাণ ঈদ কাটিয়ে মুসল্লিরা স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণে এবারের ঈদুল ফিতরের নামাজ জামাতে আদায় করেছেন। এ যেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মিলন মেলা। দেশটির প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের অংশগ্রহণে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া কুয়ালালামপুরের টিটিওয়াংসা বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশে সর্বস্তরের বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা মুফতি রেজাউল হক।
এ ছাড়া ঈদের জামাতে অংশ নিতে চৌকিট বাংলাদেশি মসজিদ বায়তুল মোকাররম, বুকিট বিনতাং বাংলাদেশি সুরাও, সুবাংজায়া বাংলাদেশি মসজিদ, শ্রীমুডা বাংলাদেশি মসজিদ, ক্লাং, পেনাং, সুঙ্গাইবুলু, পুচং, মালাক্কা, পেনাং, জহুরবারু, কেপং জান্নাতুল ফেরদাউস বাংলাদেশি মসজিদ ও মালয়েশিয়া ইসলামি ইউনিভার্সিটির জাতীয় মসজিদে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও প্রবাসী মুসল্লিদের ঢল নামে।
নামাজে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনেকে দেশে ফোন করে স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। এ সময় পুরো এলাকা এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়।
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং ডি-পার্টুয়ান আগোং সুলতান আব্দুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ, প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তুন ডা. মাহাথির মোহাম্মদ, আনোয়ার ইব্রাহীম দেশবাসী ও বিদেশিদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এদিকে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ও মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদেরও ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল কামনা করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই