উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে যে বার্তা দিলেন কিম
কিম তার পরমাণু সমৃদ্ধ সশস্ত্র সামরিক উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ‘দৃঢ় ইচ্ছা’ ব্যক্ত করেছেন, যাতে দেশটি ‘প্রয়োজনে প্রতিকূল শক্তির কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান পরমাণু হুমকিসহ সমস্ত বিপজ্জনক প্রচেষ্টা এবং হুমকি প্রতিহত ও নস্যাৎ করতে পারে’, উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি শনিবার এ কথা জানিয়েছে।
কেসিএনএ বলেছে যে কিম সোমবারের কুচকাওয়াজের সময় তার সামরিক কর্মকর্তাদের তাদের কাজের প্রশংসা করার জন্য ডাকেন। ওই কুচকাওয়াজে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু অস্ত্রাগারের সবচেয়ে বৃহৎ অস্ত্র প্রদর্শন করে। যার মধ্যে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যা আপাতদৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়া স্থল যানবাহন বা সাবমেরিন থেকে ছোড়ার জন্য নকশাকৃত বিভিন্ন স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি করেছে। যা দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকিস্বরূপ।
কবে সামরিক কর্তাদের সাথে কিমের বৈঠক হয়েছে তা জানায়নি কেসিএনএ।
অস্ত্রাগার সম্প্রসারণ
যদিও কিমের ভূমিভিত্তিক আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) সংগ্রহ আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। উত্তর কোরিয়া ২০১৯ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকির জন্য স্বল্পপাল্লার কঠিন-জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্রের অস্ত্রাগারও প্রসারিত করছে।
উত্তর কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে কয়েকটিকে ‘কৌশলগত’ অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সেগুলোর মাধ্যমে ছোট যুদ্ধক্ষেত্রে পরমাণু বোমা উৎক্ষেপণের আশঙ্কা রয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী বাহিনীকে ধরাশায়ী করতে যুদ্ধের সময় সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ সেনা অবস্থান করছে।
কোন মন্তব্য নেই