এক্সিম ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে ৩১ শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ বা এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ব্যাংকটির সর্বশেষ প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমার্ধে এক্সিম ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৭ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। সে হিসাবে একই বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস বেড়েছে ২৭ পয়সা বা ৩১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ৩০ জুন ২০২২ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮৯ পয়সা। আগে হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ টাকা (পুনর্মূল্যায়িত)।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ৪৫ পয়সা বা ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭২ পয়সায়।
আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ টাকা ১৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এছাড়া ২০১৯ ও ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এক্সিম ব্যাংক। ২০১৭ হিসাব বছরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৬৯৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ১০, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোন মন্তব্য নেই