মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া সব খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন
দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ সিকিউরিটিজের দরপতন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কেবল মিউচুয়াল খাত বাদে সব খাত থেকেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। তবে এ সময়ে আগের সপ্তাহের তুলনায় এক্সচেঞ্জটির লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। আর খাত বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি লেনদেন নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বস্ত্র খাত। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সূচক কমলেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪৬ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমেছে। সূচকটির বর্তমান অবস্থান প্রায় ৫ হাজার ৯৮১ পয়েন্টে। সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রবি আজিয়াটা, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো লিমিটেড, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বিএটিবিসি ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের।
ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ২৯৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ৬টির।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৩ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। সে হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ৩৯৮ কোটি টাকার বেশি বা ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ৭০ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতের দখলে রয়েছে গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে কেবল মিউচুয়াল ফান্ড খাতে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন বাদে বাকি ১৯টি খাত থেকেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত থেকে, ৬ শতাংশ। ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত। গত সপ্তাহে তৃতীয় সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সিমেন্ট খাত থেকে। এ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।
অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমে প্রায় ১৭ হাজার ৫৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৫৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ২৬১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।
কোন মন্তব্য নেই