বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস দিতে বাধ্য হয়েছি —বিএসইসি চেয়ারম্যান
দেশের পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি। এ কারণে ইচ্ছা না থাকলেও তাদের স্বার্থরক্ষায় সার্কিট ব্রেকার ও ফ্লোর প্রাইস দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি গতকাল ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, শুধু ইকুইটির মাধ্যমে জিডিপির তুলনায় বাজারের আকার ধরে রাখা ও ২০ শতাংশের বেশি করা সম্ভব হবে না। যেসব দেশে জিডিপির তুলনায় পুঁজিবাজারের আকার বড়, সেসব দেশে বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে বাজার বড় হয়েছে। আমাদের দেশেও বন্ডের লেনদেন শুরু হলে পুঁজিবাজারের আকার আরো বড় হবে ও লেনদেনের পরিমাণ অনেক বাড়বে। আমাদের দেশে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেশি। তারা এত পরিমাণ শেয়ার বিক্রির চাপ দিচ্ছিলেন যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সেটি কুলিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে আবার বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক খবর পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলেছে।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার বিষয়ে তিনি বলেন, ক্রয়মূল্যে ব্যাংকের বিনিয়োগ গণনা করার বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। বর্তমান গভর্নর অর্থ বিভাগের সচিব থাকার সময় এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আপত্তির কারণে এটি হয়নি। আইন পরিবর্তন না করে অন্য কোনোভাবে এটি করা যায় কিনা সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই