ফ্লোর প্রাইসের প্রভাবে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ফ্লোর প্রাইসের প্রভাবে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান



ঈদুল আজহার ছুটির পর থেকেই টানা দরপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। ক্রমাগত দরপতনের একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে চলে যায়। এ অবস্থায় দরপতন ঠেকাতে গতকাল থেকে শেয়ারদরে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়ার প্রভাবে গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে।


বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের নিচে শেয়ারদর কমার সুযোগ না থাকায় গতকাল পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দরপতনের শঙ্কা ছিল না। এতে সার্বিকভাবে বাজারে বিক্রয়প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ইস্যুগুলো নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনো শঙ্কা রয়ে গেছে। এ কারণে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের বাজারে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তারা আপাতত বিনিয়োগ না করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।


বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পরই ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১৬ পয়েন্টে দাঁড়ায়। মূলত ২৪ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সমাপনী দরের গড়কে ফ্লোর প্রাইস ও সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দরেই গতকাল কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। ফলে লেনদেনের শুরুতে পুঁজিবাজারের সূচক যে অবস্থানে ছিল ফ্লোর প্রাইস বলবৎ থাকা পর্যন্ত সূচক এ সীমার নিচে নামবে না।


গতকাল দিনশেষে আগের দিনের তুলনায় ১৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবস শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৯৮১ পয়েন্টে। একদিনে সূচকটি আড়াই শতাংশের বেশি বেড়েছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিনশেষে ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির (বিএটিবিসি), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও গ্রামীণফোনের শেয়ারের।


ডিএসইতে গতকাল ৫৬৮ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৪৪২ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৩৬২টির, কমেছে ৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।


খাতভিত্তিক লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ দশমিক ৮ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে নিয়েছে সাধারণ বীমা খাত। ৯ দশমিক ৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ২ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর বিবিধ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

কোন মন্তব্য নেই