ব্রডওয়েতে ফিরছে না টু কিল আ মকিংবার্ড - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ব্রডওয়েতে ফিরছে না টু কিল আ মকিংবার্ড


হারপাল লির কামিং অব এজ উপন্যাস ‘টু কিল আ মকিংবার্ড’। বইটি সব বয়সের পাঠকের কাছেই প্রিয়। বইয়ের গল্পকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন অ্যারন সরকিন। তার পরিচালনায় ব্রডওয়ে থিয়েটারে প্রায় চার বছর ধরে চলেছে নাটকটি। কিন্তু নাটকটি ব্রডওয়েতে আর ফিরছে না। প্রতিষ্ঠানটি এ ঘোষণা আরো আগেই দিয়েছিল। ২০১৮ সালে ব্রডওয়েতে নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়। গত ১৬ জানুয়ারি সেখানেই শেষবারের মতো মঞ্চায়ন হয়েছিল নাটকটির।


জানুয়ারিতে মঞ্চস্থ হওয়ার পর জানানো হয়েছিল জুনে আবার ব্রডওয়েতে ফিরবে টু কিল আ মকিংবার্ড। এরপর আবার বলা হয় পিছিয়ে নভেম্বরে যাচ্ছে মঞ্চায়ন। তবে ভেনু পরিবর্তিত হয়ে যাবে মিউজিক বক্স থিয়েটারে। শেষমেশ নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এ নাটকের মঞ্চায়ন পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে নাট্যকার অ্যারন সরকিন ও পরিচালক বার্টলেট শেরের পক্ষ থেকে প্রধান প্রযোজক স্কট রুডিনকে দায়ী করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে এক ই-মেইলে তারা জানিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে এমন কিছু কারণে তার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছে, যেসব প্রসঙ্গে আমরা ছাড় দিতে নারাজ। তিনি প্রযোজনা থেকে সরে গিয়েছেন এবং শো নতুন করে শুরু করতে চান না।’ রুডিনের বিরুদ্ধে কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ছিল অনেক দিন ধরে।


অন্যদিকে রুডিন একটি ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন সরকিন ও শেরকে। তিনি বলেন, ‘আগামী শীতে নাটকটি কেমন চলবে তা নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী নই। মকিংবার্ড থেকে ভালো মুনাফা আসবে বলে মনে হয় না।’ কিন্তু ২০১৮ সালে নাটকটি দারুণ ব্যবসা করেছিল। প্রতি সপ্তাহের টিকিট বিক্রি থেকে প্রায় ২০ লাখ ডলার আয় করে ১৯ সপ্তাহে বিনিয়োগ তুলে নেয়। আর্থিক লাভ বাদেও নাটকটি তুমুল প্রশংসিত হয় এবং ২০১৯ সালের টোনি অ্যাওয়ার্ডে নয়টি পুরস্কার লাভ করে। নাটকটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় ভিন্ন একটি কারণে। টু কিল এ মকিংবার্ড থেকে চলা অন্যান্য নাটক বন্ধ করতে রুডিনের আইনজীবী উঠেপড়ে লাগেন। এর মধ্যে ১৯৯১ সালে ক্রিস্টোফার সার্জেলের সংস্করণটিও ছিল। পরে এ নিয়ে রুডিন আনুষ্ঠানিক দুঃখপ্রকাশ করেন।


অতিমারীর শেষে ব্রডওয়ে খোলার পর অ্যাটিকাস ফিঞ্চের চরিত্রে ফিরেছিলেন জেফ ড্যানিয়েলস। সব মিলিয়ে গত অক্টোবর থেকে নাটকটি ভালো ব্যবসা করেছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে ড্যানিয়েলস চলে গেলে দর্শকের আগ্রহ কিছুটা কমে যায়। সব মিলিয়ে অ্যারন সরকিন ও বার্টলেট শের মনে করেছেন এবার থেমে যাওয়াই ভালো।

কোন মন্তব্য নেই