নিউজ ফাস্ট

চিপ কারখানার কার্বন নিঃসরণ কমাবে স্যামসাং


জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কম্পিউটিং খাতের চিপ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্যামসাং অন্যতম। এ কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে সেটি বাস্তবায়নে চিপ উৎপাদন কেন্দ্রে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটি। খবর দ্য কোরিয়াহেরাল্ড।


সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এনভায়রনমেন্ট ও সেফটি সেন্টার বিভাগের প্রধান সং দু-কুয়েন।


তিনি বলেন, সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরিতে নির্ধারিত গ্যাসের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করাই আমাদের ব্যয়ের অন্যতম প্রধান বিষয়।


চিপ তৈরির সময় উপজাত হিসেবে পারফ্লুরো কার্বন ও হাইড্রোফ্লুরো কার্বনের মতো গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গত হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নে কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুলনায় এসব গ্যাসের প্রভাব বেশি। অন্যদিকে বায়ুমণ্ডলে এর জীবত্কাল প্রায় ৫০ হাজার বছর পর্যন্ত দীর্ঘ। ম্যাকেঞ্জি অ্যান্ড কোম্পানির অনুমান, চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি নিঃসরণ করা গ্রিনহাউজ গ্যাস ৮০ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমান। ২০২১ সালে স্যামসাং যে পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করেছে, তা প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমান।


তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বয়লারে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যা কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের জন্য অনেকাংশে দায়ী। সং দু-কুয়েনের মতে, আপাতত এর বিকল্প নেই। তবে নিঃসরণ কমাতে বর্জ্য তাপকে আটকে ফেলা ও পুনর্ব্যবহার করা যেতে পারে। স্যামসাংয়ের অ্যাডভান্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণা ইউনিট ২০৩০ সালের মধ্যে সেটাই প্রয়োগ করবে। নিঃসরণ কমানোর এ প্রযুক্তিই এখন স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের প্রধান লক্ষ্য।


সম্প্রতি ঘোষিত নিউ এনভায়রনমেন্টাল স্ট্র্যাটেজি অনুসারে স্যামসাং পুরোপুরি নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর ও জিরো এমিশন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়াকে নিজেদের লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছে। তার জন্য ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং আরই-১০০-তে যোগ দিয়েছে। আরই-১০০ হলো ৩৮০টি কোম্পানির একটি সংগঠন, যা শতভাগ নবায়নযোগ শক্তিনির্ভর হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কোন মন্তব্য নেই