পিত্তথলিতে পাথর হলে অবহেলা নয় - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

পিত্তথলিতে পাথর হলে অবহেলা নয়


পিত্তথলিতে পাথর জমা হওয়াকে ‘পিত্ত পাথরি বা পিত্ত পাথর’ বলে। ৩০-এর ওপরে বয়স এমন প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৫ জনের পিত্তথলিতে পাথর থাকে। এই ১৫ জনের মধ্য থেকে দু-তিনজনের পিত্তথলিতে পাথর থাকার কারণে উপসর্গ দেখা যায়। পিত্তথলিতে পাথর থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই কোনো উপসর্গ থাকে না।




এক জরিপে দেখা গেছে, পাথরের আকার চার সেন্টিমিটারের বেশি হলে পিত্তথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কারণ পিত্তথলিতে থাকা পিত্তরসে পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ কঠিন পদার্থ। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পিত্ত লবণ, কোলেস্টেরল, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ। পিত্তে পাথর হওয়ার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল এবং অনেক উপাদানের ওপর নির্ভরশীল। পিত্তে পাথর হওয়ার প্রক্রিয়াটি বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন। তবে সর্বস্বীকৃত প্রতিক্রিয়াগুলো হলো :


♦ পিত্তরসের মধ্যে কোনো কারণে পিত্ত লবণের মাত্রা কমে গেলে


♦ পিত্তরসের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে


♦ পিত্তথলি পূর্ণমাত্রায় সংকুচিত হতে ব্যর্থ হলে।


সাধারণত উপরোক্ত তারতম্যগুলো ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টিন নামক দুটি হরমোনের আধিক্যের কারণে হয়ে থাকে। এই হরমোনগুলো মহিলাদের শরীরে থাকে। ফলে প্রতি একজন পুরুষের বিপরীতে তিনজন মহিলার ক্ষেত্রে রোগটি হয়ে থাকে।


লক্ষণ


সাধারণত চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর পেটের উপরিভাগের ডান দিকে অথবা পেটের শুধু উপরিভাগে ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো কখনো এই ব্যথা ডান কাঁধের দিকে বা পেছনের দিকে অনুভূত হতে পারে। ব্যথা সাধারণত ১৫ মিনিট থেকে ঘণ্টাখানেক স্থায়ী হতে পারে। অনেক সময় ব্যথার পাশাপাশি বমি বা বমি বমি ভাব, খাবার হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।


ঝুঁকি কাদের বেশি


নারী ৪০ বা তার বেশি বয়সীরা, স্থূল ব্যক্তিরা, যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করেন তাঁদের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।


চিকিৎসা


পেটের আলট্রাসনোগ্রাম এবং এমআরসিপি পরীক্ষার মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর শনাক্ত করা যায়। যাদের উপসর্গ আছে, তাদের অবশ্যই সার্জারি করিয়ে নিতে হবে। বর্তমানে সাধারণত ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে (অর্থাৎ পেট না কেটে) শুধু পেট ছিদ্র করে মেশিনের সাহায্যে পিত্তথলির পাথর অপসারণ করা হয়ে থাকে। যাদের উপসর্গ নেই, তাদের সাধারণত কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।


পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান

কনসালট্যান্ট

হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড প্যানক্রিয়াটিক সার্জারি

কোন মন্তব্য নেই