আইবিএমের নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটার অসপ্রে
অসপ্রে নামে নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার চালুর ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস করপোরেশন (আইবিএম)। ২০২১ সালে যে ইগল কম্পিউটার আনা হয়েছিল সেটির তুলনায় ৪৩৩ কিউবিটের মেশিন তিন গুণ বেশি শক্তিশালী। খবর রয়টার্স।
কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সক্ষমতা পরিমাপের একক হলো কোয়ান্টাম বিট বা কিউবিট। আইবিএম ছাড়া এখন পর্যন্ত হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের ডিভাইসের সক্ষমতা নিয়ে ভিন্ন দাবি জানিয়েছে। ব্যক্তিগত কাজে বা প্রতিষ্ঠানে যে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, সেগুলো দিয়ে বড় কাজ করা যায় না। জটিল বা বড় হিসাবের জন্য সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। তবে এতেও যে খুব কম সময় লাগে তা নয়।
সুপারকম্পিউটারের গণনা ক্ষমতা কয়েক কোটি গুণ বাড়ানোর সম্ভাবনা সামনে নিয়ে এসেছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। প্রযুক্তির বিষয়ে আইবিএমের অগ্রগতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা বিভাগের পরিচালক ডারিও গিল বলেন, আইবিএম ১ হাজার কিউবিটের কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্মাণে কাজ করছে। সেই সঙ্গে এ লক্ষ্য অর্জনে একটি নতুন কৌশল নিয়েও কাজ চলছে।
গিল বলেন, আমরা যে অসপ্রে চিপের ঘোষণা দিয়েছি তার সক্ষমতা যতটা সম্ভব বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। খেয়াল করলে দেখা যাবে এটি আকারে বেশ বড়। আগামী বছর ১ হাজার কিউবিটের চিপ আরো বড় হবে। তাই এর পরের পদক্ষেপ হিসেবে মডুলারিটিকে কেন্দ্র করে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের একেবারে নতুন নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণকাজ চলছে বলে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে জানান তিনি।
মডুলারিটির মানে হচ্ছে, চিপগুলো একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। নতুন এ মডুলার নির্মাণ কৌশলকে কোয়ান্টাম সিস্টেম টু নাম দিয়েছে আইবিএম। কোয়ান্টাম সিস্টেম টু কার্যত বিশ্বের প্রথম মডুলার কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে আরো বড় সিস্টেম বানানো যায়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইবিএম কোয়ান্টাম সামিটে গিল এ কথা জানান।
২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অসপ্রেকে পুরোপুরি কার্যকর করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আইবিএম। এছাড়া একাধিক কোয়ান্টাম সিস্টেম টু একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কোয়ান্টাম কেন্দ্রিক সুপারকম্পিউটিং কাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যেও এগোচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনটি কোয়ান্টাম সিস্টেম টু জুড়ে দিয়ে ১৬ হাজার ৬৩২ কিউবিটের কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্মাণের সুযোগ আছে বলেও আইবিএম জানিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ২০টির বেশি সুপারকম্পিউটার আছে আইবিএমের। গ্রাহকরা চাইলে ক্লাউডের মাধ্যমে সুপারকম্পিউটারগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই