বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে দরপতন অব্যাহত, বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমছে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে দরপতন অব্যাহত, বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমছে


বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দরপতনের গতি বেড়েছে, ক্রেতা মিলছে না অনেক কার্য দিবসেই। চলতি সপ্তাহের এক কার্যদিবসে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস অর্থাৎ গতকাল (বুধবার) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ফের দরপতন হয়েছে।


দুই বাজারেই কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হলো।


মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি দুই বাজারেই দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। কেন কমছে দাম, জানতে কথা হয় বাজার বিশ্লেষকদের সঙ্গে।


বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী রেডিও তেহরানকে বলেন, দাম অপরিবর্তিত থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা ক্রেতার অভাবে তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না।



শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে অর্থনৈতিক মন্দার ভয় করছেন তারা। একই সাথে মুদ্রাস্ফীতি ব্যবসায়ীদের আরও সতর্ক করে তুলেছে। এসব কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেশি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দর কষাকষিতে একমত হতে পারছে না। ফলে তাদের ব্যবসায় মন্দা বিরাজ করছে।


সন্ধ্যানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট-এর এক গবেষনায় দেখা যায়- চলতি অর্থ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের লোকসান বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে নতুন করে ৩০টি কোম্পানি প্রথমবারের মতো লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। তবে প্রায় ১২২টি কোম্পানি দেশে এবং বিদেশে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উচ্চ মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে।


ডিএসই ব্রোকারজ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোশতাক আহমেদ সাদেক রেডিও তেহরানকে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সঙ্কটের কারনে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি চাপ তৈরি হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো মন্থর হতে পারে এবং শীঘ্রই এমন মন্থর পরিস্থিতি কেটে যাবে তারও কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন এ বাজার বিশ্লেষক।

কোন মন্তব্য নেই