‘প্রতিপক্ষ নয়, পুরো দেশের বিরুদ্ধে খেলা’ একজন খেলোয়াড়ের জন্য খুব কঠিন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্রিসবেনের বিশাল মাঠে মাইকে হঠাৎ আওয়াজ, ‘শান্ত তুমি অশান্ত হয়ে যাও। তোমাকে শান্ত থাকলে হবে না। এবার অশান্ত হতে হবে। এবারের সংগ্রাম অশান্ত হবার সংগ্রাম।’ গ্যালারি থেকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে এভাবেই স্লেজিং করছিলেন এক দর্শক। শান্ত ঠিকই ব্যাট হাতে দিয়েছেন জবাব। তার ৫৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ১৫০ রানের পুঁজি পায়। পরবর্তীতে তাসকিন আহমেদের অসাধারণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ হারায় মাত্র ৩ রানে। ম্যাচসেরা হন তাসকিন। কিন্তু পার্শ্বনায়ক ছিলেন শান্ত।
বিপিএলের খেলা চলছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রেস বক্স প্রান্তে সীমানায় ফিল্ডিং করছিলেন শান্ত। হঠাৎ গ্যালারি থেকে শোনা যায়, ‘ওই লর্ড শান্ত। ওই শান্ত। ওই লর্ড, ওই শান্ত।’ ‘ভুয়া-ভুয়া’। লাগাতার কয়েকবারই এক তরুণ শান্তকে এভাবেই বাজে বকে যাচ্ছিলেন। কয়েকবার শোনার পর শান্ত পেছন ঘুরে তাকান ঠিকই। কিন্তু কিছু বলতে পারেননি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দর্শকদের কাছে সমালোচনা-ট্রলের শিকার কে হননি? মিনহাজুল আবেদীন, আকরাম খানরা গ্যালারি থেকে রীতিমতো গালিগালাজ শুনতেন। মাশরাফি, সাকিব, তামিমরা গ্যালারির দুয়োধ্বনি পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সময়ে ট্রল হচ্ছে অনলাইন দুনিয়ায়। সঙ্গে সামনাসামনিও সমালোচনা, স্লেজিং বাদ পড়ছে না।
লিটন দাস সেই কঠিন সময়টা পেরিয়ে ব্যাট হাতে কড়া জবাব দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু এখনও সেই কঠিন সময় কাটাচ্ছেন শান্ত। লিটনের বিশ্বাস, শক্ত মানসিকতার শান্তও এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসবেন। শান্তর শক্ত মনোবলই বড় আশা দেখাচ্ছে লিটনকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শান্ত বলেছেন, ‘মাঠে নামলে মনে হয় প্রতিপক্ষ নয়, আমি দেশের বিপক্ষে খেলি।’ শান্তর এমন বক্তব্য বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। তার মানসিক অবস্থাও ফুটে উঠে সেই বক্তব্যে। মাঠের ভেতরে-বাইরে এসবকে সঙ্গী করেই ২২ গজে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার লড়াই করে চলেছেন ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
জাতীয় দলের সতীর্থ শান্তকে নিয়ে বড় আশা লিটনের, ‘আমার মনে হয় শান্ত মানসিকভাবে অনেক শক্ত ছেলে। যেহেতু অনেক দিন ধরে এসব মোকাবিলা করে আসছে...। আপনার যদি জ্বর আসে, আপনি একদিন হতাশ হবেন। কিন্তু যখন নিয়মিত হতে থাকবে, তখন মনে হবে, ‘ধুর এটা আর এমন কী!’ শান্তর ক্ষেত্রেও এমন হয়ে গেছে। এক সাক্ষাৎকারে ও বলেছে, ওর মনে হয় খেলতে নামলে প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে খেলে না, পুরো দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে খেলে। এটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য খুব কঠিন।’
‘শান্ত ওই জায়গা থেকে বিশ্বকাপে এত ভালো খেলেছে, ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি ও মানসিকভাবে শক্ত একটা ছেলে, তাই ওকে বলার কিছু নেই। ও জানে কী করতে হবে। ভালো-খারাপ থাকবেই। মানসিকভা
কোন মন্তব্য নেই