আনুষ্ঠানিক কর্মীদের সুবিধা চান থাই ডেলিভারিম্যানরা
আনুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের মতোই সুযোগ-সুবিধা দাবি করেছেন থাইল্যান্ডের ডেলিভারিম্যানরা। দেশটির একজন সমাজকর্মী জানান, পরবর্তী সরকারের কাছে তারা স্বাস্থ্যবীমার মতো সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাশা করেছেন। খবর ব্যাংকক পোস্ট।
পাত্তামালাক থংসরি নামে ওই সমাজকর্মী একটি জরিপে দেখেছেন, ডেলিভারি রাইডারদের মধ্যে বেশির ভাগই সড়ক দুর্ঘটনা ও যৌন হয়রানির মতো ঘটনার শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় তারা কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পান না। তবে জরিপে কতজন রাইডারদের সাক্ষাৎ নেয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘তারা চান ভবিষ্যৎ সরকার তার নীতি পরিবর্তন করুক এবং তাদের সহকর্মীরা যারা অফিসে কাজ করেন তাদের মতো একই সুবিধা তারা যেন পান।’
রাইডাররা জানান, তাদের সুরক্ষা ভবিষ্যৎ সরকার নীতি পরিবর্তন করুক। যেন তাদের সহকর্মী যারা অফিসে কাজ করেন তাদের মতো সুবিধা পান।
থাইল্যান্ডে ডেলিভারি প্লাটফর্মগুলো রাইডার হয়রানির ঘটনায় সমালোচিত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ব্যাংকক আর্ট অ্যান্ড কালচার সেন্টারে ডেলিভারি রাইডারদের সুস্থতাবিষয়ক এক সম্মেলনে পাত্তামালাক বলেন, ‘যদিও কিছু কোম্পানি দাবি করে তারা হয়রানির সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন, কিন্তু সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নীতি গ্রহণ করে না। অনুষ্ঠানে ডেলিভারি রাইডার, রাজনীতিক ও অন্য কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।’
সে সময় ফুড ডেলিভারি রাইডার সোমচ্যাট রুয়াংপু বলেছেন, রাইডারদের প্রায়ই ‘কর্মীর’ পরিবর্তে ‘অংশীদার’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যার অর্থ তারা গাড়ি ও স্বাস্থ্য বীমার মতো কর্মী সুবিধার আওতাভুক্ত নন। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে কোম্পানির সহযোগিতা ছাড়াই রাইডারদের নিজ বাহন ও নিজেদের চিকিৎসা খরচ চালাতে হয়।
রুয়াংপু জানান, তিনি দীর্ঘ সময় হেলমেট পরায় স্ট্রোক করেছিলেন।
ফু থাই পার্টির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল পাওপুম রোজানাসকুল বলেছেন, এ সমস্যা সমাধানে অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের অধিকার রক্ষায় একটি আইন জারি করতে হবে। আনুষ্ঠানিক কর্মীদের মতো তাদের আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির থিংক ফরোয়ার্ড সেন্টারের পরিচালক ডেজরাট সুকুমনারড বলেছেন, রাইডারদের নিজেদের শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করার অনুমতি দিয়ে রাইডার ও প্লাটফর্মের মধ্যে বিরোধের সমাধান করতে হবে। রাইডারদের কাজের অবস্থা, মজুরি, সুবিধা ও কাজের চাপ নিয়ন্ত্রণে একটি আইন থাকা উচিত।
ডেমোক্রেটিক পার্টির পলিসি চেয়ারম্যান পিসিত লিহতাম বলেছেন, এ বিষয়ে আইন অনুমোদনের জন্য সংসদে একটি বিল পেশ করা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আপাতত রাইডার ও তাদের বাহনগুলোর নিরাপত্তায় কোম্পানিগুলোকে আন্তরিক হতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই