ভারতে দ্বিতীয় কারখানা স্থাপনের কথা ভাবছে পেগাট্রন - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ভারতে দ্বিতীয় কারখানা স্থাপনের কথা ভাবছে পেগাট্রন


চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কারখানা ও উৎপাদন কার্যক্রম স্থানান্তরে বাধ্য হচ্ছে। এর মধ্যে কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির তাইওয়ানভিত্তিক সরবরাহকারী পেগাট্রন ভারতে দ্বিতীয় কারখানা স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করছে।


বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ছয় মাস আগে ১৫ কোটি ডলার ব্যয়ে দক্ষিণের শহর চেন্নাইয়ের তামিলনাড়ুতে প্রথম কারখানা স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একই জায়গায় দ্বিতীয় কারখানা স্থাপনের কথা ভাবছে পেগাট্রন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে অবগত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


একটি সূত্র জানায়, নতুন কারখানাটিতে হালনাগাদ ভার্সনের আইফোন অ্যাসেম্বল করা হবে। এ বিষয়ে পেগাট্রনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে কোনো ভূমি বা জমি ইজারা নেয়া হলে নিয়মমাফিক ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে অ্যাপলও কোনো মন্তব্য করেনি।


ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর দিক থেকে ভারত অ্যাপলের পরবর্তী স্থান। ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারত থেকে ৯০০ কোটি ডলার মূল্যের স্মার্টফোন বাজারজাত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশই ছিল আইফোন। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে অ্যাপলের মোট উৎপাদিত আইফোনের ১০ শতাংশই ভারত থেকে সরবরাহ করে পেগাট্রন।


অ্যাপল ও এর প্রধান সরবরাহকারীরা চীন থেকে তাদের কার্যক্রম সরিয়ে নিতে এখন ব্যস্ত। মূলত চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধে যাতে কার্যক্রম প্রভাবিত না হয় সেজন্য এ উদ্যোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পেগাট্রন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


দ্বিতীয় কারখানা স্থাপনের বিষয়ে যে আলোচনা চলছে সেটি মূলত চেন্নাইয়ের মাহিন্দ্রা ওয়ার্ল্ড সিটিতে স্থাপন করা হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রসারণের জন্য পেগাট্রন কী পরিমাণ ব্যয় করবে সে বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রথম সূত্র জানায়, নতুন কারখানাটি আগেরটির তুলনায় আকারে ছোট হতে পারে।


২০১৭ সালে উইস্ট্রন ও পরে ফক্সকনের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারকে আইফোন অ্যাসেম্বল শুরু করে অ্যাপল। বর্তমানে এ দেশের ওপরই নির্ভর করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন বাড়াতে ভারত সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে সহায়তা করবে উদ্যোগটি। চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন বাজার হচ্ছে ভারত। অ্যাপল এখানে আইপ্যাড ট্যাবলেট ও এয়ারপড অ্যাসেম্বলের কথাও ভাবছে।


ভারতে কর্নাটক রাজ্য জানায়, চলতি সপ্তাহে প্রদেশটি ফক্সকনের ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মাধ্যমে সেখানে ৫০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।


গত সপ্তাহে রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে ২০ কোটি ডলার ব্যয়ে ফক্সকনের নতুন কারখানা স্থাপনের কথা জানানো হয়। কারখানাটিতে অ্যাপলের জন্য ওয়্যারলেস ইয়ারফোন তৈরি করা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।


প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনের টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ের ব্যবসা অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি ১৩ হাজারের বেশি যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করেছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গত মাসে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই এ তথ্য জানান। 


সাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকাশিত বক্তৃতার অনুলিপি অনুসারে, গত তিন বছরে হুয়াওয়ে দেশীয় ডিভাইসে ১৩ হাজার যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করেছে। নিজেদের পণ্যের জন্য চার হাজার সার্কিট বোর্ড পুনরায় ডিজাইন করেছে। সার্কিট বোর্ডের উৎপাদন স্থিতিশীল রয়েছে বলেও জানানো হয়।

কোন মন্তব্য নেই