পরিচালকের সংখ্যা বাড়াতে বিএটিবিসির ইজিএম ২৯ মার্চ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

পরিচালকের সংখ্যা বাড়াতে বিএটিবিসির ইজিএম ২৯ মার্চ


পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) করপোরেট গভর্ন্যান্স কোড অনুসারে পর্ষদে পরিচালকের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি)। এজন্য কোম্পানির সংঘবিধিতে সংশোধনী আনতে ২৯ মার্চ  সকাল সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। ইজিএমে এ ইস্যুতে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়া হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে বিএটিবিসির পর্ষদ। ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে  ২৯ মার্চ বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২ মার্চ। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিয়েছে বিএটিবিসি। 


২০২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ২৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা।  


৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের মোট ২৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ১৫০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত ও বাকি ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে বিএটিবিসির ইপিএস হয়েছে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২০ টাকা ১৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬২ টাকা ৯৬ পয়সা। 


২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএটিবিসি। এর মধ্যে ৩০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে ওই হিসাব বছরের জন্য ৮০০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। আলোচ্য হিসাব বছরে বিএটিবিসির ইপিএস ছিল ৬০ টাকা ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫১ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৮৮ টাকা ৮৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ১৯৮ টাকা ৮৫ পয়সা।


বিএটিবিসি ১৯৭৭ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনও একই। রির্জাভে রয়েছে ৩ হাজার ১৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, দশমিক ৬৪ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার, ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।


ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৫১০ ও ৫৯৩ টাকা।

কোন মন্তব্য নেই