যুক্তরাজ্যের ভিডিও গেম বাজারে মন্দা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

যুক্তরাজ্যের ভিডিও গেম বাজারে মন্দা


প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের যুগে অন্যতম একটি খাত হচ্ছে ভিডিও গেম। আগে শুধু বিনোদনের জন্য গেম খেলার প্রচলন থাকলেও বর্তমানে পেশা হিসেবেও এর চল রয়েছে। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশে ভিডিও গেম অর্থ উপার্জন মাধ্যম ও ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। বৈশ্বিক মন্দার শংকা, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে গেমিং খাতের বাজারেও অবনমন হয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের ভিডিও গেম খাতের মূল্য ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। সম্প্রতি দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর ইউকে ইন্টারেকটিভ এন্টারটেইনমেন্টের (ইউকেআইই) এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


টেকটাইমসে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত বছর যুক্তরাজ্যে এ খাতটির বাজার ছিল ৭০৫ কোটি ইউরো বা ৮০০ কোটি ডলারের, যা কভিড-১৯ মহামারী পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর কনসোলসহ গেমিং হার্ডওয়্যারের বিক্রি ১৯ শতাংশ কমে ২৬৯ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল। অন্যদিকে সফটওয়্যারের বিক্রি দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭১ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ইউকেআইইয়ের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ড. জো টুইস্ট বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ভোক্তা ভিডিও গেম বাজার প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে পারায় আমরা আনন্দিত।’


তিনি বলেন, ‘‌কভিড-১৯ মহামারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এর পরও যুক্তরাজ্যে গেমসের প্রয়োজনীয়তা ও এর সংস্কৃতিগত প্রভাব এখনো শক্তিশালী।’


ইউকেআইই মূলত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি যুক্তরাজ্যের কম্পিউটার ও ভিডিও গেম খাতের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ৬০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান, গেম ডিজাইনার, প্রকাশক, প্লাটফর্ম ও পরিষেবা প্রদানকারীদের প্রতিনিধি।


কভিড-১৯ মহামারী পরবর্তী সময়, মন্দার শঙ্কাসহ বিভিন্ন কারণে অন্যান্য বিনোদন খাতের মতো ভিডিও গেম ব্যবসাও বড় ধরনের লোকসানে মুখে রয়েছে। কেননা মূল্যস্ফীতির কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যয় অনেকাংশে কমে গেছে। নতুন জরিপের তথ্যানুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ, মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানিতে অত্যধিক ব্যয়ের কারণে ভিডিও গেমে গেমারদের ব্যয় কমবে।


২০২২ সালে সফটওয়্যার বিক্রি বাড়লেও, গেমিং কনসোল বিক্রি ২৭ শতাংশ কমেছে। সাধারণত দুই বা তিন বছর পর নতুন ভার্সনের কনসোল বাজারে আনা হলে পুরনো ভার্সনের দাম অনেকটাই কমে যায়। এরই মধ্যে সনি জানিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে গত বছর পিএস৫-এর বিক্রি কমেছে। গত বছর স্ট্রিমিং ও গেমের জন্য  ভিডিও কনটেন্টের সংখ্যা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। মহামারীর পর এর হার বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। 


দ্য ইলেকট্রনিসক রিটেইলারস অ্যাসোসিয়েশনের (ইআরএ) ইয়ারবুক ২০২৩ অনুযায়ী গত বছর লেগো স্টার ওয়ারস: দ্য স্কাইওয়াকার সাগা; প্লেস্টেশন এক্সক্লুসিভ গড অব ওয়ার রাগনারক ও হরাইজন: ফরবিডেন ওয়েস্ট; পোকেমন লিজেন্ডস: আর্কিয়াস অন সুইচ এবং এল্ডের রিং যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত গেম ছিল। 


হগওয়ার্টস: লিগেসি; স্টারফিল্ড ও দ্য লিজেন্ড অব জেল্ডা: টিয়ারস অব দ্য কিংডম গেম বাজারজাতে দেরি হলেও চলতি বছর এ খাতে প্রবৃদ্ধির আশা করছেন বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা। কেননা এ খাত এরই মধ্যে কভিড-১৯ মহামারী পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় উপরে রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই