ডিভোর্স নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন সোহেল খান - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ডিভোর্স নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন সোহেল খান



বলিউড অভিনেতা সোহেল খান ফ্যাশন ডিজাইনার সীমা কিরণ সাজদেহের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। ২০২২ সালে ভেঙে যায় এই দম্পতির ২৪ বছরের সংসার। দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার পর সোহেল খানকে এ নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথমবার বিচ্ছেদ ও প্রাক্তন স্ত্রী সীমার সঙ্গে তার বর্তমান রসায়ন নিয়ে কথা বলেছেন।  


বিবাহবিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করে সোহেল খান বলেন, “আমি সীমার সঙ্গে ২৪ বছর কাটিয়েছি। সীমা চমৎকার একটি মেয়ে। কিন্তু কিছু জায়গায়, কিছু বিষয়ে আমাদের মিল হচ্ছিল না। কিন্তু সেটা আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দেয়নি।” 


সন্তানদের জন্য প্রাক্তন স্ত্রী সীমার সঙ্গে যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহেল খান। তিনি বলেন, “সীমা দারুণ একজন মানুষ, চমৎকার একজন মা, খুবই যত্নশীল মা। আমাদের মাঝে কিছু বিষয়ে বনিবনা হয়নি। তার মানে এই নয় যে, আমাদের মধ্যে কোনো তিক্ততা রয়েছে। আমরা ঠিক করেছি, প্রতি বছর একবার আমরা (বাবা-মা হিসেবে) ছেলেদের নিয়ে ছুটিতে যাব এবং আনন্দ করব। আমরা আলাদা ব্যক্তি হলেও বাবা-মা হব এবং ভালো সময় কাটাব।” 


স্বামী-স্ত্রীর ইগো সন্তানদের প্রভাবিত করে। এ তথ্য স্মরণ করে সোহেল খান বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন ঝগড়া হয়, তখন তার প্রভাব বাচ্চাদের ওপর পড়ে। স্বামী-স্ত্রীর ইগো সন্তানদের ওপরে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। কিন্তু তারা তা উপলদ্ধি করতে পারে না। এতে তারা শুধু নিজেদের জীবনই নষ্ট করছে না, বরং আগামী প্রজন্মকেও বিঘ্নিত করছে। ফলে সন্তানেরা বড় হয়ে বিপথে চলে যেতে পারে। তাই আমি ও সীমা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা সেটা হতে দেব না।”


সালমান খানের ভাই সোহেল খানকে বিয়ের পর নামের সঙ্গে ‘খান’ পদবি যুক্ত করেছিলেন সীমা। বিচ্ছেদের পর তা বাদ দেন। ২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে সীমা বলেছিলেন, “আমি যদি এই ব্যাপারটি নিয়ে পড়ে থাকতাম, তাহলে ব্ল্যাক হোলের মতো এর আরো গভীরে নিমজ্জিত হয়ে পড়তাম। তাই বিপরীত পথ বেছে নিয়েছি। আমার মতে, এজন্যই সামনে আগাতে পারছি। আমার সন্তান, পরিবারের সদস্য ও ভাই-বোনদের ক্ষেত্রেও তাই। বোন, মেয়ে কিংবা ঘনিষ্ঠ কাউকে একটি বিষয় নিয়ে সব সময় নিমগ্ন হয়ে চাপ নিতে দেখতে মোটেও ভালো লাগার কথা নয়। তাই তাদের জন্য আমার জীবনটা সম্পূর্ণ ইতিবাচকভাবে দেখি।” তবে এই আলাপচারিতায় বিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করেননি সীমা। 


১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোহেল খান ও সীমা। ২০০০ সালে তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র নির্বাণ খান। ২০১১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেয় তাদের দ্বিতীয় পুত্র ইয়োহান।

কোন মন্তব্য নেই