বাংলাদেশে ৫জি যুগের সূচনা: গ্রামীণফোন ও রবি আনল পরীক্ষামূলক সেবা
বাংলাদেশে ৫জি যুগের সূচনা: গ্রামীণফোন ও রবি আনল পরীক্ষামূলক সেবা
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন ইতিহাস রচিত হলো। অবশেষে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ দুই মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
রবি আজিয়াটার সূচনা
রবির কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স প্রধান শাহেদ আলম জানান, ২০২৫ সালের নভেম্বরের মধ্যে ২০০টি টাওয়ারে ৫জি চালুর লক্ষ্য রয়েছে।
গ্রামীণফোনের চমকপ্রদ ঘোষণা
রবির উদ্যোগের দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোন সব বিভাগীয় শহরে ৫জি চালুর ঘোষণা দেয়। যদিও প্রাথমিকভাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ কিছু এলাকায় গ্রাহকরা সংযোগ পাননি, তবে কোম্পানি জানিয়েছে ধীরে ধীরে কভারেজ বাড়ানো হবে।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “৫জি কেবল দ্রুত ইন্টারনেট নয়, বরং উদ্ভাবন ও স্মার্ট সমাধানের নতুন দুয়ার খুলে দেবে।”
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ৫জি
বাংলাদেশের মোবাইল যাত্রা শুরু হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে ২জি সেবার মাধ্যমে। এরপর আসে ৩জি (২০১৩) ও ৪জি (২০১৮)। কিন্তু ৫জি চালু হতে বিলম্ব হয়েছে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, উচ্চ খরচ ও ইকোসিস্টেমের অভাবে।
সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ৫জি চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা সম্ভব হলো ২০২৫ সালে এসে। ২০২২ সালের স্পেকট্রাম নিলামে অপারেটররা প্রায় ১.২৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করলেও রোলআউটের সুস্পষ্ট সময়সীমা না থাকায় বিলম্ব ঘটে।
বিশ্বে ৫জি অগ্রগতি
-
ভারত: ২০২২ সালে বাণিজ্যিকভাবে ৫জি চালু করে অল্প সময়ের মধ্যে ২৫ কোটির বেশি গ্রাহককে যুক্ত করেছে।
-
এরিকসন মোবিলিটি রিপোর্ট: ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বে সক্রিয় ৫জি ব্যবহারকারী হয়েছে ২৪০ কোটির বেশি। বছরের শেষে এ সংখ্যা পৌঁছাতে পারে প্রায় ২৯০ কোটিতে।
সরকারের প্রত্যাশা
বিটিআরসি কর্মকর্তা এমদাদ উল বারী বলেন, “৫জি কেবল প্রযুক্তি নয়, বরং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্মার্ট কৃষিতে বাস্তব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার একটি হাতিয়ার।”
অন্যদিকে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও এম রিয়াজ রশিদ জানান, সরকারের নীতি সহায়তার কারণে রেকর্ড সময়ে ৫জি চালু করা সম্ভব হয়েছে।
মূল সুবিধা এক নজরে
কোন মন্তব্য নেই