দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে চাঙা বাংলাদেশ: ২০২৫ সালে প্রস্তাব ১.৮৫ বিলিয়ন ডলার

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে চাঙা বাংলাদেশ: ২০২৫ সালে প্রস্তাব ১.৮৫ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, বিকেল ৫:২১
২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.৮৫ বিলিয়ন ডলার, যা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং শিল্পখাতে নতুন গতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বেপজা, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বিসিক–এ মোট ৩ হাজার ৫০০ প্রতিষ্ঠান এ প্রস্তাব জমা দিয়েছে। বর্তমানে এসব প্রস্তাব বাস্তব বিনিয়োগে রূপ দিতে একাধিক সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।
📊 বিনিয়োগের উৎস ও খাতভিত্তিক চিত্র
বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি জানান, মোট প্রস্তাবের মধ্যে ৬৫ কোটি ডলার বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে, বাকি অংশ দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ।
তার ভাষায়—
“শুধু বিডাই প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে, আর বেপজা পেয়েছে ৫০ কোটি ডলার।”
বিনিয়োগ আগ্রহের শীর্ষ খাতগুলো হলো—
-
🧵 অ্যাডভান্সড টেকনিক্যাল টেক্সটাইল
-
💊 ফার্মাসিউটিক্যালস (ওষুধ শিল্প)
-
🌾 অ্যাগ্রো-প্রসেসিং (কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ)
-
💻 তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি)
-
🩺 মেডিকেল ডিভাইস ও এপিআই (API) শিল্প
🌍 দেশভিত্তিক বিনিয়োগ প্রবণতা
সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে চীন থেকে, যা মোট বিনিয়োগের প্রায় ২০ শতাংশ।
এরপর রয়েছে—
🇺🇸 যুক্তরাষ্ট্র, 🇬🇧 যুক্তরাজ্য, 🇯🇵 জাপান এবং 🇰🇷 দক্ষিণ কোরিয়া।
⚙️ বিনিয়োগ বাস্তবায়নে সংস্কার ও ডিজিটাল উদ্যোগ
বিডা জানিয়েছে, বিনিয়োগ বাস্তবায়ন দ্রুত করতে তারা অভ্যন্তরীণ সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
প্রধান পদক্ষেপগুলো হলো—
-
বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া সহজীকরণ,
-
সব বিনিয়োগ সংস্থার সেবা একত্রে দিতে ‘বাংলাবিজ (BanglaBiz)’ প্ল্যাটফর্ম চালু,
-
এনবিআরের ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ সিস্টেম আংশিকভাবে চালু।
নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন,
“গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন বিনিয়োগকারীদের প্রধান চাহিদা। সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে, ফলে আগামী বছরের শুরুতেই ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাবে।”
📈 ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও বিশ্লেষকদের মত
বিশ্লেষকদের মতে, যদি বিনিয়োগবান্ধব সংস্কার, প্রযুক্তি ব্যবহার ও সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে এই প্রস্তাবগুলোর বড় অংশ বাস্তব বিনিয়োগে রূপ নিতে পারে।
এর ফলে বাংলাদেশের শিল্প, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি খাত আরও চাঙা ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।
কোন মন্তব্য নেই