আমরা কারাগারে ছিলাম না, এক কসাইখানায়’: মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা | ইসরায়েলি কারাগারের নির্যাতনের বর্ণনা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

আমরা কারাগারে ছিলাম না, এক কসাইখানায়’: মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা | ইসরায়েলি কারাগারের নির্যাতনের বর্ণনা

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

আমরা কারাগারে ছিলাম না, এক কসাইখানায়’: মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা | ইসরায়েলি কারাগারের নির্যাতনের বর্ণনা


সংবাদ প্রতিবেদন:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা তাঁদের ভয়াবহ বন্দিজীবনের অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কারাগারগুলো কোনো মানবিক স্থান নয়—বরং যেন এক “কসাইখানা”।


🔹 বন্দিদের ভয়াবহ বর্ণনা

আল–জাজিরার সঙ্গে আলাপে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি আবদাল্লাহ আবু রাফি বলেন,

“আমরা কারাগারে ছিলাম না, এক কসাইখানায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই কসাইখানার নাম ছিল ওফের কারাগার। অনেক তরুণ এখনও সেখানে বন্দি। কোনো তোশক নেই, খাবারের মান খুবই খারাপ, প্রতিদিনই নির্যাতন ও মানসিক চাপ।”

আরেক বন্দি ইয়াসিন আবু জানান,

“খুব খারাপ অবস্থা ছিল। খাবার, প্রহার, নির্যাতন—সবকিছুই অসহনীয়। চার দিন কিছুই খেতে পারিনি। মুক্তি পাওয়ার পর এখান (খান ইউনিসে) এসে দুটি মিষ্টি খেয়ে তবেই একটু স্বস্তি পেয়েছি।”


🔹 ব্যাপক মুক্তি, কিন্তু তাতে নেই স্বস্তি

ইসরায়েল সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
এর মধ্যে অনেকে আজীবন বা দীর্ঘমেয়াদি সাজাভোগকারী ছিলেন।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭১৮ জনেরও বেশি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ এই বন্দিদের অনেককেই ‘বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।


🔹 স্বাধীনতার অনুভূতি

মুক্তিপ্রাপ্ত আরেক ফিলিস্তিনি সাইদ শুবাইর বলেন,

“এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। মুক্ত আকাশে সূর্যের আলো দেখা—এটাই প্রকৃত স্বাধীনতা। স্বাধীনতার কোনো দাম নেই; এটা অমূল্য।”

তাঁরা জানান, কারাগারে নির্যাতন ও অমানবিক অবস্থার মধ্যে প্রতিদিনই টিকে থাকা ছিল এক রকম যুদ্ধ।
এমন পরিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়া মানেই নতুন করে বেঁচে ওঠা।


🔹 প্রেক্ষাপট

সম্প্রতি রেডক্রসের মাধ্যমে হামাসের হাতে থাকা জীবিত ২০ জিম্মিকে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর পরপরই ইসরায়েল ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন, এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজায়।
সেই হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচার সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত দুই বছরে নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

কোন মন্তব্য নেই