গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও ফল রপ্তানিতে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে এফএও | ইউনূসের সঙ্গে রোমে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও ফল রপ্তানিতে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে এফএও | ইউনূসের সঙ্গে রোমে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
সংবাদ প্রতিবেদন:
অনলাইন ডেস্ক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণ শিল্পের উন্নয়ন এবং ফল রপ্তানি সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)।
ইতালির রোমে সংস্থাটির সদর দপ্তরে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও এফএওর ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আশ্বাস দেন সংস্থার মহাপরিচালক ড. কু দোংইউ।
🔹 বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা
বৈঠকের শুরুতে ড. ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বাংলাদেশের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে অসামান্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন এফএও মহাপরিচালক।
তিনি বলেন,
“বাংলাদেশ এখন একটি উচ্চ সাফল্য অর্জনকারী দেশ। আমরা প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও দক্ষিণ–দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখব।”
🔹 ইউনূসের তিন প্রস্তাব
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বৈঠকে তিনটি নতুন সহযোগিতা খাত প্রস্তাব করেন—
১️⃣ গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণ ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধি।
২️⃣ ফল রপ্তানি সম্প্রসারণে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত প্রযুক্তির উন্নয়ন।
৩️⃣ ফসল সংগ্রহোত্তর ক্ষতি রোধে সাশ্রয়ী ও মোবাইল কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন।
তিনি বলেন,
“আমাদের সমুদ্র সম্পদ বিশাল, কিন্তু আমরা মাছ ধরি শুধু অগভীর জলে। বিদেশি ট্রলারগুলো আমাদের জলসীমায় মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, অথচ আমরা এখনো প্রস্তুত নই।”
🔹 চীনা বিশেষজ্ঞদের সহায়তার প্রস্তাব
এফএও মহাপরিচালক ড. কু দোংইউ জানান, বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের মাছের মজুদ নিরূপণ ও টেকসই আহরণ কৌশল প্রণয়নে চীনের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।
🔹 ফল রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা
বাংলাদেশের ফল রপ্তানিতে সম্ভাবনা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন,
“চীন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।”
তিনি ছোট কৃষকদের ক্ষতি কমাতে মোবাইল কোল্ড স্টোরেজ প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
জবাবে ড. কু বলেন,
“উচ্চমূল্যের নগদ ফল উৎপাদন কৃষি খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন ১৯৮০-এর দশকে ফল রপ্তানির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে বিরাট সাফল্য পেয়েছিল—বাংলাদেশও সেই পথ অনুসরণ করতে পারে।”
🔹 কৃষি–অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এফএওর এই সহযোগিতা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র মৎস্য খাত, ফল রপ্তানি বাজার এবং গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি এক নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।
কোন মন্তব্য নেই