সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে জামালপুরে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারী, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে জামালপুরে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারী, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ প্রতিবেদন:
নিজস্ব প্রতিবেদক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
জামালপুর, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে জামালপুরের মাদারগঞ্জে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারীর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ নামজারীর সহযোগিতার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বালিজুড়ী বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা।
🔹 ভুক্তভোগীদের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী সুমন আহাম্মেদ। তিনি বলেন,
“১৯৬০ সাল থেকে আমাদের পরিবার বালিজুড়ী এলাকার ৩৮ শতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছে। ১৯৮৬ সালে সরকার ভূমিহীন হিসেবে মো. ইস্রাফিল শেখের নামে ওই জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। কিন্তু ২০০৭ সালে প্রতিপক্ষ একটি পক্ষ নিজেদের মালিক দাবি করে মামলা করে। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত এবং সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আমরা রায় পাই।”
তিনি আরও জানান,
“সেই রায় অমান্য করে চলতি বছরের ১৮ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে এক চক্রের সহায়তায় ওই জমির ২৮.৫ শতাংশ অংশ প্রতিপক্ষের নামে নামজারী করা হয়। এতে একই জমি দুই পক্ষের নামে রেকর্ড তৈরি হয়।”
সুমন অভিযোগ করেন, নামজারীর সময় বালিজুড়ী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান, সাব-রেজিস্ট্রার মো. আবু কালাম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে সাব-রেজিস্ট্রার ছাড়া বাকিরা বদলি হয়েছেন।
🔹 প্রাণনাশের হুমকি ও অভিযোগ
ভুক্তভোগীরা জানান, ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়, ফলে তারা মাদারগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
🔹 প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
মাদারগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন,
“আমরা একটি জিডি পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল দিও জানান,
“আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও নামজারী কিভাবে হলো তা আমার জানা ছিল না। এখন যদি ভুক্তভোগীরা লিখিতভাবে জানায়, আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন,
“বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এখন জানলাম। এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম জানান,
“ভুক্তভোগীরা আমার কাছে এলে আমি পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
কোন মন্তব্য নেই