কেউ আর স্বেচ্ছাচারিতা করবে না, জনগণই নির্ধারণ করবে নির্বাচন: সারজিস আলম

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কেউ আর স্বেচ্ছাচারিতা করবে না, জনগণই নির্ধারণ করবে নির্বাচন: সারজিস আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
বগুড়া:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচন হবে জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে, কোনো একক কর্তৃত্ববাদী সিদ্ধান্তে নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “নতুন করে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করবে—এটা আর হবে না।”
রবিবার (২০ অক্টোবর) বগুড়ায় এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “আগামী নির্বাচন কখন, কীভাবে, কতটা গ্রহণযোগ্যভাবে হবে—এটা জনগণই নির্ধারণ করবে। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে, তারা একতরফাভাবে সব ঠিক করবে—এটা ভুল ধারণা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, রাজনৈতিক দলগুলো এমন প্রতিশ্রুতি দিক যেটির ওপর তারা অটল থাকতে পারবে। তাহলেই জনগণের আস্থা ফিরে আসবে, আর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারবে।”
জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, “জুলাই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। অথচ জামায়াত সেটিতে স্বাক্ষর করেছে, যা তাদের রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও দ্বিচারিতা।”
এনসিপির সাংগঠনিক পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, “দেশের রাজনীতিতে এখন কেউ এককভাবে শক্তিশালী নয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জামায়াত—কেউই একা নেতৃত্ব দিতে পারবে না। তাই এনসিপি রাজপথে যেমন শক্তি দেখাবে, সংসদেও তার উপস্থিতি নিশ্চিত করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামীর সংসদে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে পুরনো রাজনীতির সংস্কৃতি বদলানো সম্ভব নয়। যারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও খুনিদের বিচারের পক্ষে কাজ করবে—তাদের সঙ্গেই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকব।”
এনসিপিকে ‘শাপলা প্রতীক’ না দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সারজিস আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা চাইলে শাপলা প্রতীক দিতে পারে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এখনো স্বেচ্ছাচারী আচরণ করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এনসিপি আর এই কমিশনের ওপর আস্থা রাখবে না।”
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির রাজশাহী বিভাগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, সংগঠক ডা. আব্দুল্লাহ আল সানি, বগুড়া জেলা নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় কর্মীরা।
কোন মন্তব্য নেই