কোরআনের অলৌকিক সত্য: পিঁপড়ার দেহে ভঙ্গুর ক্রিস্টাল স্তরের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

কোরআনের অলৌকিক সত্য: পিঁপড়ার দেহে ভঙ্গুর ক্রিস্টাল স্তরের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত





কোরআনের অলৌকিক সত্য: পিঁপড়ার দেহে ভঙ্গুর ক্রিস্টাল স্তরের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ১১:৫১

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র অথচ বিস্ময়কর প্রাণীগুলোর একটি হলো পিঁপড়া। সাম্প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, পিঁপড়ার শরীরে এমন এক ক্রিস্টাল স্তর (Crystal Layer) রয়েছে যা তাদের দেহকে কঠিন অথচ ভঙ্গুর করে তোলে — আর এই তথ্যের উল্লেখ রয়েছে ১৪০০ বছর আগেই পবিত্র কোরআনে।


🔬 বিজ্ঞান যা বলছে

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক–এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “লিফ-কাটার পিঁপড়া (Leaf-cutter ants)” নামে এক প্রজাতির দেহের বাইরের আবরণে ক্যালসাইট ক্রিস্টাল বা খনিজ স্তর পাওয়া গেছে।
এই স্তরটি উচ্চমাত্রার ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে গঠিত, যা সাধারণত সমুদ্রের আর্চিন (Sea Urchin) প্রাণীর দাঁতে পাওয়া যায়।

এই ক্রিস্টাল স্তর পিঁপড়াকে —

  • লড়াইয়ের সময় আঘাত থেকে রক্ষা করে,

  • ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ক্রিস্টাল বর্মটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম (micron level), যা খালি চোখে দেখা যায় না, এবং কাঁচের মতো ভঙ্গুর।


📖 কোরআনের আয়াতের বৈজ্ঞানিক মিল

পবিত্র কোরআনের সূরা আন-নামল (২৭:১৮) আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন—

“যখন সুলায়মান (আ.) ও তাঁর সৈন্যবাহিনী পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিঁপড়া বলল, ‘হে পিঁপড়াগণ! তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ করো, নইলে সুলায়মান ও তাঁর বাহিনী তোমাদের চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলবে, অথচ তারা টেরও পাবে না।’”

এখানে ব্যবহৃত আরবি শব্দ ‘ইয়াহতিমান্নাকুম’ (يَحْطِمَنَّكُمْ)–এর অর্থ হলো “ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়া।”

এক সময় নাস্তিকরা এই আয়াতকে “অবৈজ্ঞানিক” বলে দাবি করেছিল, কারণ পিঁপড়া নরম দেহের প্রাণী। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান এখন প্রমাণ করেছে—পিঁপড়ার শরীরে ক্রিস্টাল বর্ম থাকায় তাদের দেহ আসলে ভঙ্গুর এবং “চূর্ণ-বিচূর্ণ” হওয়া সম্পূর্ণ সম্ভব।


🌟 উপসংহার

এই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার প্রমাণ করে যে কোরআনের প্রতিটি শব্দ কেবল আধ্যাত্মিক নয়, বরং বৈজ্ঞানিক সত্যের সূক্ষ্ম ইঙ্গিতও বহন করে।
১৪০০ বছর আগের ঐশী বাণী আজও আধুনিক বিজ্ঞানকে বিস্মিত করছে।

কোন মন্তব্য নেই