খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের টেকসই উন্নয়ন: রিজওয়ানা হাসান
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের টেকসই উন্নয়ন: রিজওয়ানা হাসান
অনলাইন ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাওরের টেকসই উন্নয়ন অপরিহার্য। তিনি বলেন, “হাওর রক্ষা মানেই বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা।”
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর পানি ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ–যুক্তরাজ্য হাইড্রো-মেট সহযোগিতা কর্মসূচি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় হাওর মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করেছে। এছাড়া হাওর ও জলাভূমি অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়নসহ হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে পানি আইনের আওতায় সুরক্ষা আদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গেজেট প্রকাশের পর এসব এলাকা জলবায়ু ও কৃষিবান্ধব ইকোসিস্টেম হিসেবে ব্যবস্থাপিত হবে।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “হাওরবাসীরা এখনো স্বাস্থ্যসেবায় পিছিয়ে। আমরা এমন একটি নৌ–হাসপাতাল মডেল বিবেচনা করছি, যা বর্ষা ও শুষ্ক—দুই মৌসুমেই চালু রাখা সম্ভব হবে।” তিনি প্রস্তাব করেন, এই উদ্যোগটি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় বাস্তবায়ন করতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তিনি জানান, ‘এনরিচ’ প্রকল্পের আওতায় ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যা পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যুক্তরাজ্যের মেট অফিস, রাইমস, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আগামী ছয় মাসে এই সহযোগিতা আমাদের বিশ্লেষণী সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, যাতে বৃষ্টিপাত ও জলবিদ্যুৎ তথ্য আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমেবেট মেনা, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম), কেয়ার বাংলাদেশ; জেমস গোল্ডম্যান, ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর, ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকা; প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত, উপদেষ্টা, সিসিইআর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি; সেলিনা শেলি খান, চিফ অব পার্টি, নবপল্লব, কেয়ার বাংলাদেশ এবং রওফা খানম, সহকারী পরিচালক, সিসিইআর।
এ সময় সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, একাডেমিয়া ও নাগরিক সমাজের ১৫০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘নবপল্লব’ প্রকল্পের সুন্দরবন ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ECA)–তে অর্জিত সাফল্য তুলে ধরা হয় এবং তার সম্প্রসারণ হিসেবে হাকালুকি হাওরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
প্যানেল আলোচনায় এডিবি, সিএনআরএস, আরএসএফ ও বন অধিদফতরের প্রতিনিধিরা প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন (LLA) নীতিকে জাতীয় জলবায়ুনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কোন মন্তব্য নেই