ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবও ধামাচাপার চেষ্টা করেছিলেন মঞ্জুরুল
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব ধামাচাপার চেষ্টা করেছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম, অভিযোগ জাহানারার
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০২৩ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার লতা মণ্ডলকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে। প্রস্তাবটি দেন আরেক নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার, যিনি অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে স্টাম্পিং বা হিট উইকেটের বিনিময়ে বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান।
ফিক্সিংয়ের বিষয়টি পরবর্তীতে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটে রিপোর্ট করা হয়। তবে নারী ক্রিকেট দলের তৎকালীন প্রধান কোচ মঞ্জুরুল ইসলাম এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম।
জাহানারার দাবি
সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারা বলেন,
“লতাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় চারজনের নাম উল্লেখ করেন সোহেলী আপু। লতা ভয়েস রেকর্ডগুলো রেখে দেয়। কিন্তু মঞ্জু ভাই লতাকে বলেন, এগুলো আইসিসিকে বলার দরকার নেই।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি মঞ্জু ভাইকে বলেছিলাম, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আইসিসিকে না জানালে সমস্যা হবে। তখন উনি বলেন, ‘আমি তোদের বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’ কিন্তু আসলে কেন তিনি বিষয়টি গোপন করছিলেন, সেটাই এখন প্রশ্ন।”
নতুন বিতর্কে মঞ্জুরুল ইসলাম
সম্প্রতি জাহানারা আলম তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলার পর থেকেই মঞ্জুরুল ইসলামের আচরণ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ক্রিকেট মহল। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও এখন তাঁর বিরুদ্ধে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে এখনো আইসিসি বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই