টিএফআই-জেআইসি গুম-খুন মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তা আজ ট্রাইব্যুনালে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম ও খুনের দুটি পৃথক মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে আজ (রোববার)। এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সকাল থেকেই পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা কড়া নিরাপত্তা বজায় রেখেছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাদা পোশাকধারী সদস্যদেরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দুই মামলার শুনানি গ্রহণ করবেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে দেখা যায়নি।
প্রথমে ২০ নভেম্বর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে তারিখ পেছানোর আবেদনের পর আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। ২৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১ এর দুই সদস্যের প্যানেল—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী—এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে, ২২ অক্টোবর একই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। ৮ অক্টোবর পৃথক দুই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং শুনানির জন্য ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।
র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন—শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কেএম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, আবদুল্লাহ আল মোমেন, সারোয়ার বিন কাশেম, খায়রুল ইসলাম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমন।
জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুমের মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে, যেখানে একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকও নাম যুক্ত। অন্যান্য আসামিরা হলেন—ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল হামিদুল হক, মেজর জেনারেল তৌহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী এবং লে. কর্নেল (অব.) মখসুরুল হক।
কারাগারে থাকা ১৩ সেনা কর্মকর্তা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল মশিউর রহমান, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী।
কোন মন্তব্য নেই