যুক্তরাষ্ট্রর মেরিল্যান্ডে পত্রিকা অফিসে ঢুকে গুলি, নিহত ৫ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

যুক্তরাষ্ট্রর মেরিল্যান্ডে পত্রিকা অফিসে ঢুকে গুলি, নিহত ৫




যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে একটি সংবাদপত্রের অফিসে ঢুকে বার্তাকক্ষে গুলি চালিয়ে অনৱত পাঁচজনকে হত্যা করেছে এক বন্দুকধারী। স’ানীয় সময় গতকাল বিকালে ক্যাপিটাল গেজেট নামের ওই পত্রিকা অফিসে এই হামলায় আহত হয়েছে আরও কয়েকজন। ক্যাপিটাল গেজেটের কর্মীদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারী শটগান আর স্মোক গ্রেনেড নিয়ে তাদের অফিসে ঢোকে। কাচের দরজার ভেতর দিয়ে সে বার্তা কক্ষের ভেতরে নির্বিচারে গুলি চালায়। আর পুলিশ বলছে, এ হামলা চালানো হয়েছে টার্গেট করেই। তবে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে তারা করছে না। ঘটনাস’ল থেকে জ্যারড রামোস নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে, যিনি ২০১২ সালে ক্যাপিটাল গেজেটের বিরম্নদ্ধে মানহানির মামলা করে ব্যর্থ হন। তদনৱকারীরা বলেছেন, ৪০ এর কাছাকাছি বয়সী ওই ব্যক্তিকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সেশাল মিডিয়ায় ক্যাপিটাল গেজেটের বিরম্নদ্ধে বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছিল; সেসবও তারা খতিয়ে দেখছেন। কাউন্টি পুলিশের কর্মকর্তা স্টিভ শুহ সিএনএনকে বলেছেন, গুলির ঘটনার এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ ওই ভবনে প্রবেশ করে। হামলাকারী তখন একটি ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিল। পুলিশকে কোনো গুলি ছুড়তে হয়নি। ওই ভবনে কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেরও অফিস রয়েছে। হামলার পর অনৱত ১৭০ জনকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় পুলিশ। পরে পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভবনের ভেতরে তলস্নাশি চালিয়ে একটি স্মোক বম পাওয়ার পর সেটি ধ্বংস করেছে তারা। বাল্টিমোর সান মিডিয়া গ্রম্নপের মালিকানাধীন ক্যাপিটাল গেজেটের বেশ কয়েকটি প্রকাশনা রয়েছে।

এর মধ্যে দ্য ক্যাপিটাল নামে একটি পত্রিকা আছে, যার সূচনা হয়েছিল ১৮৮৪ সালে। বাল্টিমোর সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনার পর আটক রামোসের বাড়ির পাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখা যায়। হয়রানির অভিযোগে এক মামলা নিয়ে ২০১১ সাল থেকে ক্যাপিটাল গেজেটের মামলা চলছিল। হামলার ঘটনার পর ক্যাপিটাল গেজেটের আতঙ্কিত কর্মীরা অফিস ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও শুক্রবারের পত্রিকা তারা ঠিকই বের করবেন বলে জানিয়েছেন। পত্রিকাটির প্রতিবেদক ফিল ডেভিস এক টুইটে লিখেছেন, ডেস্কের নিচে লুকিয়ে যখন শুনতে পাবেন যে “আশপাশের মানুষের গায়ে গুলি লাগছে আর হামলাকারী তার অস্ত্র রিলোড করছে, এর চেয়ে আতঙ্কের আর কিছু হতে পারে না।” তার ভাষায়, বার্তাকক্ষের পরিসি’তি তখন ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের মত। একপর্যায়ে হামলাকারী গুলি থামালেও ডেস্কের নিচে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচানো মানুষগুলো কেউ মাথা তোলার সাহস পাচ্ছিল না।



চেজ কুক নামের আরেক প্রতিবেদক টুইট করেছেন- “আমি এটা বলতে পারি: কালও আমাদের পত্রিকা ছাপা হবে।” হামলার এ ঘটনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানানো হলে এক টুইটে তিনি হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্সও ‘নিজেদের কাজের মধ্যে থাকা নিরপরাধ সাংবাদিকদের’ ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কে বিভিন্ন পত্রিকা অফিসের সামনে অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই