পদত্যাগ প্রশ্নে নীরব পোপ ফ্রান্সিস
সাবেক ভ্যাটিকান কূটনীতিক কার্লো মারিয়া ভিগানোর অভিযোগ ও পদত্যাগের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পোপ ফ্রান্সিস। এর আগে মার্কিন কার্ডিনাল থিওডোর ম্যাককারিকের যৌন নিপীড়নের বিষয়ে পোপ ফ্রান্সিসকে অভিযুক্ত করে তার পদত্যাগ দাবি করেন ভিগানো। গত ২৭ আগস্ট আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবরে বলা হয়, আয়ারল্যান্ডে পোপ ফ্রান্সিসের সফর শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ভিগানোর অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। খবর বাংলানিউজের।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পোপ জানান, আর্চবিশপ ভিগানোর ১১ পাতার চিঠির প্রত্যুত্তরে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করবেন না। তিনি বলেন, আপনারা যারা আগ্রহী তারা পুরো নথি মনোযোগসহ পড়তে পারেন। নিজেরাও এগুলোর বিচার করতে পারেন। পোপ বলেন, আমি এ বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করবো না। আমার মনে হয় বিবৃতিটি নিজের পক্ষে বলা হয়েছে। প্লেনে ওঠার সময় পোপ সাংবাদিকদের বলেন, এর শেষ টানার জন্য আপনাদের যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। কিছুদিন যাওয়ার পর আপনারা এর শেষ টানবেন। সম্ভবত তখন আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো। এদিকে ভিগানো পোপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, পাঁচ বছর আগ থেকে ম্যাককারিকের যৌন নিপীড়নের বিষয়ে জানতেন পোপ ফ্রান্সিস। অথচ গত মাসে ওই মার্কিন কার্ডিনালের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন পোপ। ভিগানো বলেন, ২০১৩ সালে তিনি ম্যাককারিকের যৌন নিপীড়নের বিষয়ে পোপকে জানিয়েছেন। ভিগানো তার ১১ পাতার চিঠিতে লিখেছেন, পোপ ম্যাককারিকের যৌন নিপীড়নের বিষয়ে জানতেন। এছাড়া বিভিন্ন দুর্নীতির কথাও জানতেন তিনি। তিনি লিখেছেন, প্রথমেই ম্যাককারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পোপ ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারতেন। তবে পোপ ফ্রান্সিনের সঙ্গে কথাবার্তার কোনো লিখিত বা অন্য প্রমাণাদি উপস্থাপন করেননি ভিগানো।
কোন মন্তব্য নেই