বৃহত্তম সোলার পার্ক তৈরি হচ্ছে মিসরে
বহুদিন ধরেই মিসর জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করে চলছে। দেশটির ৯০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। দেশটিতে এ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিপুল ভর্তুকিও দেয়া হয়। তবে সবারই জানা যে, এ জীবাশ্ম জ্বালানি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ীগুলোর অন্যতম। তাই হয়তো এত দিনে টনক নড়েছে মিসরের সরকারের। তারা জ্বালানি বিষয়ে তাদের নীতি পরবর্তন করতে যাচ্ছে এবং নির্মল জ্বালানিশক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে তারা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সোলার পার্ক নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছে। এ বিকল্প জ্বালানি পার্কের নাম বেনবান কমপ্লেক্স। মিসরের দক্ষিণাঞ্চলের মরুভূমিতে এ পার্কের নির্মাণকাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর এ পার্ক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। বেনবান কমপ্লেক্সের ৩০টি সোলার প্লান্টে চার হাজার কর্মী কাজ করবেন এবং এখান থেকে ১ দশমিক ৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
কায়রোর ৪০০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত এ সোলার পার্ক নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। প্রকল্পটি মিসরের জ্বালানি ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি কায়রোকে সবচেয়ে দূষিত বড় শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে স্থান দিয়েছে। তাই মিসরের সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে গ্যাসের ব্যবহার অর্ধেকে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশটি তাদের জ্বালানি চাহিদার ৪২ শতাংশ পূরণ করবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। সরকার এ পরিকল্পনা ঘোষণা দেয়ার পর মিসরের নির্মল জ্বালানি খাতের ব্যবসা ৫০০ শতাংশ সম্প্রসারণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সোলার বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এ নতুন পরিকল্পনা মিসরের পরিবেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সিসি দেশটির পরিবেশ রক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধিতে শক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সোলার পার্কসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সিসি লোহিত সাগরের গাল্ফ অব সুয়েজে বায়ুচালিত বিদ্যুত্কল উদ্বোধন করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই