আদালতকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার আইনকানুনের কোনো ধার ধারছে না বলেই বকশীবাজার থেকে কারাগারে আদালত স্থানান্তর করেছে। এর মাধ্যমে তারা আদালতকেই কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো দেখুন:ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বাইক স্টান্ট ভাইরাল
অন্ধকার কারাগারে আদালত গঠন করে বেগম জিয়াকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, "যে মামলায় বেগম জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়েছিল, সেই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। অর্থাৎ তাকে এখন বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার প্রতি সরকারের এমন নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।"
তিনি আরও বলেন, "বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে আটকে রেখে গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য দুটি, একের পর এক মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে সাজার স্তূপ বৃদ্ধি করা। আরেকটি হচ্ছে দিনের পর দিন আটকে রেখে শারীরিক অসুস্থতার আরো অবনতি ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে বিপর্যস্ত করা।"
সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, "হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসা হয়েছে আদালতে। তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে, হুইল চেয়ারে বসে রীতিমতো কাঁপছিলেন এবং চেয়ার থেকে দাঁড়াতে পারছিলেন না। বার বার দাবি করা সত্ত্বেও তার সুচিকিৎসায় সরকার অবহেলা করেছে। পরিত্যক্ত কারাগারে তাকে যে কক্ষটি দেয়া হয়েছে, তা বাস করার জন্য অনুপযুক্ত। তিনি যেন সারাক্ষণ কষ্ট পান, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। সামগ্রিকভাবে আইন ও বিচারিক কার্যক্রমেই দেখা যায়, খালেদা জিয়ার ওপর জুলুমের প্রকাশ।"
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, "সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চায় না। কারণ এ ধরনের নির্বাচন হলে তাদের লজ্জাজনক পরাজয় হবে। তাই একতরফা, ভোটারশূন্য নির্বাচন করার জন্য সারাদেশ বিরোধী দলশূন্য করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন রাতেই পোশাকধারী ও সাদা পোশাকধারীরা বিএনপি নেতাদের বাসা ও বাড়িতে হানা দিচ্ছে, তল্লাশির নামে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।"
রিজভী জানান, "ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির ১৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ১২ শতাধিক। নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ১১ হাজার এবং অজ্ঞাতনামা আসামি সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।
কোন মন্তব্য নেই