বিতর্কিত ভিডিও বিতর্কে বিএফআইইউ প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত
এই ভিডিও কেলেঙ্কারি এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন শাহীনুল ইসলাম বিতর্কিত পরিবহন প্রতিষ্ঠান এনা গ্রুপের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার ঘটনায় আলোচনায় আছেন। গত বছরের নভেম্বরে বিএফআইইউ এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের ৫০টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১২০ কোটি টাকা জব্দ করে। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাংক আল-ফালাহর চারটি হিসাব পুনরায় ফ্রিজ না করে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই তথ্য জানতে পেরেছে।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বাস রুট থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ মে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তার ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজের আদেশ দেন। তবে পরে দুদক জানতে পারে, বাস্তবে হিসাবগুলোতে রয়েছে ১০১ কোটি টাকা এবং অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে বাকি অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহীনুল ইসলাম বলেন, এনা পরিবহনের আবেদনের ভিত্তিতে কিছু অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে অনেক প্রতিষ্ঠানকে এমন সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো ভুয়া এবং তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ভিডিওগুলো শেয়ার করতে শুরু করে, যা সোমবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই বাংলাদেশ ব্যাংক তার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস। প্রায় পাঁচ মাস শূন্য থাকার পর এ বছরের জানুয়ারিতে শাহীনুল ইসলামকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গভর্নরের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সুপারিশ করা তিনজনের মধ্যে তার নাম না থাকা সত্ত্বেও অর্থ মন্ত্রণালয় তাকে এই পদে নিয়োগ দেয়, যা নিয়েও তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই