চীনা রাষ্ট্রীয় দুই টেলিকম কোম্পানির কার্যক্রম একীভূত - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

চীনা রাষ্ট্রীয় দুই টেলিকম কোম্পানির কার্যক্রম একীভূত



চীন সরকার দেশটির অন্যতম শীর্ষ দুই টেলিকম কোম্পানির কার্যক্রম একীভূতকরণের উপায় খুঁজছে। রাষ্ট্রীয় এ দুই ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার হলো চায়না টেলিকম ও চায়না ইউনিকম। পঞ্চম প্রজন্মের দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুই টেলিকম কোম্পানির কার্যক্রম একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ।

চায়না টেলিকম ও চায়না ইউনিকমের কার্যক্রম একীভূতকরণের মাধ্যমে নতুন একটি টেলিকম কোম্পানি সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে চীন সরকার। এ দুই টেলিকম কোম্পানির একীভূতকরণের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারের বাজারমূল্য ৭ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তবে বাজারমূল্যে চায়না মোবাইলকে টপকাতে পারবে না সৃষ্ট নতুন কোম্পানিটি। চায়না মোবাইল বাজারমূল্য এবং গ্রাহক সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি।

ফাইভজি মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি চীনের জন্য বড় ধরনের ব্যবসায় সুযোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে। দ্রুতগতির এ নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি উন্নয়নে বিশ্বের অনেক দেশ কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফাইভজি উন্নয়ন ও বাণিজ্যিকীকরণে কোন দেশ এগিয়ে থাকবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে বেইজিং ও ওয়াশিংটনকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে।

চায়না ইউনিকম আনুষ্ঠানিকভাবে চায়না ইউনাইটেড নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন্স নামে পরিচিত।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের শীর্ষ নেতারা রাষ্ট্রীয় দুই টেলিকম কোম্পানির কার্যক্রম একীভূত করার বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত একীভূতকরণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।

গত জুলাইয়ের তথ্যমতে, চায়না ইউনিকম ও চায়না টেলিকমের যৌথভাবে গ্রাহক রয়েছে ৬০ কোটি। একীভূতকরণের খবর প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার উভয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে।

গত মাসের শেষ দিকে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিট প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের বৃহৎ টেলিকম কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৮২ শতাংশ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। এসব কোম্পানির বেশির ভাগ উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ার। উত্তর আমেরিকায় চলতি বছরেই ফাইভজির পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ফাইভজির পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে আগামী বছর। তবে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল ও ইউরোপ ২০২১ সালের আগে দ্রুতগতির এ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে পারবে না। কারণ ইউরোপের সেলফোন অপারেটরগুলো ফাইভজি বিষয়ে এখনো পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পারেনি।

গ্রাহক ও মোবাইল নেটওয়ার্কের আকার বিবেচনায় চীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল বাজার। দেশটির একাধিক টেলিকম কোম্পানি এরই মধ্যে ফাইভজি প্রযুক্তির প্রাথমিক পর্যায় নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। আগামী বছর এ নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরুর প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০২০ সাল নাগাদ ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চীনা টেলিকম কোম্পানিগুলো।

বিশ্লেষকরা বলছেন, থ্রিজি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ কারণে দেশটি ফাইভজি মোবাইল প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা রাখতে বদ্ধপরিকর। ফাইভজি নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে চীনের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেড়েছে।

বিশ্বের বৃহৎ দুটি টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস ও জেডটিই করপোরেশন চীনে ফাইভজি সম্পর্কিত প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বাণিজ্যিকীকরণে গুরুত্ব দিচ্ছে। উভয় প্রতিষ্ঠান স্থানীয় টেলিকম কোম্পানি চায়না মোবাইল, চায়না ইউনিকম ও চায়না টেলিকমের সঙ্গে ফাইভজির উন্নয়নে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।

চীন সরকার ফাইভজি অবকাঠামো নির্মাণে সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিচ্ছে। এরই মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০১৭ সালের মার্চে দেশটির শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইভজি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি পরীক্ষার সাইট প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।




আরো দেখুন:ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বাইক স্টান্ট ভাইরাল

কোন মন্তব্য নেই