ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা গুগলের

 

ভারতের তদারককারী সংস্থা কম্পিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়ার (সিসিআই) বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে গুগল। চলমান তদন্ত নিয়ে গোপনীয় তথ্য ফাঁসের অভিযোগে আইনি লড়াই শুরু করেছে অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশন মালিকানাধীন কোম্পানিটি। খবর রয়টার্স ও টেকক্রাঞ্চ।

ভারতের তদারককারী সংস্থা সিসিআইয়ের সাম্প্রতিক একটি তদন্তে দেখা গিয়েছে অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশন গুগল ভারতে তার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রভাবশালী অবস্থান বজায় রাখার জন্য তার বিশাল আর্থিক শক্তি ব্যবহার করে অবৈধভাবে প্রতিযোগী সংস্থাগুলোর ক্ষতি করছে। গত বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে সিসিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করল গুগল। ভারতীয় তদারককারী সংস্থাটিকে তারা পাঁড় অপরাধী (হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার) বলে আদালতে অভিযুক্ত করেছে।

গুগল আদালতে জানায়, সিসিআই যেসব মামলার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেগুলোর গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দেয়। এক বিবৃতিতে তারা এ আস্থা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং গোপনীয় তথ্যের আরো বেআইনি প্রকাশ বন্ধ করতেই তারা এ মামলা করেছে। গতকাল প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে আদালতে এ মামলার শুনানি চলে। গুগলের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সিসিআইয়ের বিরুদ্ধে বার বার তথ্য ফাঁসের অভিযোগ এনে বলেন, তারা আগে থেকে কোনো সংস্থাকে বদনাম করে। তারপর এ বেছে বেছে তথ্য ফাঁস করে সংস্থাটিকে ফাঁসিয়ে দেয়। আদালতের কাছে তিনি অবিলম্বে এ তথ্য ফাঁস বন্ধের আবেদন করেন।

সিসিআইয়ের আইনজীবী তথা ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এন ভেঙ্কটরামন সব অভিযোগই অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সরকারি সংস্থাটির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ পুরো হলফনামায় একটি শব্দও নেই যা বলে কীভাবে তথ্য ফাঁস করা হয়েছে এবং তার কোনো প্রমাণও দেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, এ আদালতে যে অপরাধের কথা দাবি করা হচ্ছে, তার জন্য সিসিআই সংস্থা কীভাবে দায়ী হতে পারে? বিচারপতি রেখা পল্লী উভয়পক্ষের প্রশ্নোত্তর শুনেছেন। এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার।

২০১৯ সালেই গুগলের বিরুদ্ধে ওই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিসিআই। তারা বলেছিল, গুগল তার মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের বিকল্প সংস্করণ বেছে নেয়ার বিষয়ে ডিভাইস নির্মাতাদের ক্ষমতা হ্রাস করার জন্য এবং তাদের গুগল অ্যাপস প্রি-ইনস্টল করতে বাধ্য করার জন্য তার আধিপত্যকে কাজে লাগিয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, অ্যাপগুলোর বাধ্যতামূলক প্রি-ইনস্টলেশন ডিভাইস নির্মাতাদের ওপর অন্যায্য শর্ত আরোপের সমান। এটা ভারতের প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করে বলে দাবি করা হয়েছিল।