ইউক্রেন যুদ্ধ ‘খাদ্যপণ্যের জন্য বিপর্যয়’
নরওয়েজিয়ানভিত্তিক ইয়ারা ইন্টারন্যাশনালের প্রধান ভেইন টোরে হোলসেথার সোমবার বিবিসিকে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ায় হামলা চালানোর আগে থেকেই গ্যাসের উচ্চ মূল্যের কারণে সারের দাম আকাশছোঁয়া ছিল; যা এখনো বেড়েই চলেছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
পটাশ ও ফসফেটের মতো সারের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিপুল পরিমাণে উৎপাদন করে রাশিয়া। ফসল ফলাতে সার লাগে। সারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে তা খাদ্যের দামের ওপর প্রভাব ফেলবে।
ইয়ারা ইন্টারন্যাশনালের মতো অনেক সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পটাশ ও ফসফেটের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া অ্যামোনিয়ার মতো সারের উপাদান তৈরিতে বিপুল পরিমাণ গ্যাস লাগে। ইয়ারা ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপীয় কারখানাটি মূলত রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিষ্ঠানটি ৬০টি দেশে তাদের সার রপ্তানি করে।
ভেইন টোরে হোলসেথার আরও বলেন, ‘যুদ্ধের আগে থেকেই আমরা কঠিন অবস্থার মধ্যে আছি। এখন সরবরাহব্যবস্থায় বাড়তি চাপ পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা আমার মতে, শুধু বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের দিকেই আমরা যাচ্ছি তা নয়, বরং এটা কত বড় সংকট হয়ে উঠবে, সেটাই দেখার বিষয়।’
কোন মন্তব্য নেই