লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৭৫ বাংলাদেশী, চিহ্নিত শীর্ষ মানব পাচারকারী
লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৭৫ বাংলাদেশী, চিহ্নিত শীর্ষ মানব পাচারকারী
লিবিয়ার বেনগাজি থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ বাংলাদেশী। গতকাল সকাল সোয়া ৬টায় বুরাক এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
প্রত্যাবাসন কার্যক্রম
-
লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা যৌথভাবে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনে।
-
বিমানবন্দরে প্রত্যাবাসিতদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান।
-
প্রত্যেককে প্রদান করা হয় পথের খরচ, খাদ্যসামগ্রী, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা।
-
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে মানব পাচারের বিপদ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে অনুরোধ করেছে।
মানব পাচার চক্রের অভিযোগ
-
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ট্রাফিক হেলপার মো. শওকত আলী ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানব পাচার চক্রের শীর্ষ হোতা হিসেবে কাজ করেছেন।
-
শওকত আলীর মাধ্যমে লিবিয়ায় মানব পাচারের ঘটনায় আটক হওয়া মো. ফখরুদ্দিনকে পালাতে সহায়তা করা হয়। পরে দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।
-
সিআইডি জানায়, সাখাওয়াত হোসেন নামে আরেক শীর্ষ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে এয়ারপোর্ট থানা ও কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা রয়েছে।
-
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাখাওয়াত হোসেন স্বীকার করেছেন, ৫০০ বাংলাদেশী নাগরিককে ৪টি বোটে লিবিয়া থেকে ইতালিতে অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা থেকে বিপুল অর্থ অর্জন করা হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
-
সিআইডি মানব পাচাররোধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
-
অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
📌 কীওয়ার্ড: লিবিয়া, বাংলাদেশী প্রত্যাবাসন, মানব পাচার, সিআইডি, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর
কোন মন্তব্য নেই