বাংলাদেশে ৫জি: গ্রাহক পাচ্ছেন আসল গতি নাকি নামমাত্র সেবা?
বাংলাদেশে ৫জি: গ্রাহক পাচ্ছেন আসল গতি নাকি নামমাত্র সেবা?
বাংলাদেশে টেলিকম অপারেটররা ৫জি চালুর ঘোষণা দিলেও গ্রাহকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন—এই প্রযুক্তি কি সত্যিই প্রত্যাশিত গতি ও মানের সেবা দিতে পারছে?
২০২১ সালে টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকাসহ কয়েকটি স্থানে ৫জি চালু করে। তবে এখনো তা বাণিজ্যিকভাবে বিস্তৃত হয়নি। অন্যদিকে, ২০২৫ সালে রবি ও গ্রামীণফোন সীমিত আকারে ৫জি চালু করেছে।
বিশ্বমান অনুযায়ী ৫জি গতির পরিসর ১০০ মেগাবিট থেকে এক গিগাবিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো অধিকাংশ ব্যবহারকারী ৪জিতে পাচ্ছেন গড়ে ৫ থেকে ১৫ মেগাবিট পার সেকেন্ড। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল ‘৫জি’ নাম ব্যবহার করলেই বাস্তবে উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত হবে না।
চ্যালেঞ্জ কোথায়?
-
শক্তিশালী অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকবোনের অভাব
-
সীমিত স্পেকট্রাম বরাদ্দ
-
ব্যবহারকারীর হাতে ৫জি সমর্থিত ডিভাইসের স্বল্পতা
-
নগরকেন্দ্রিক কভারেজ
গ্রাহকের করণীয়
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রাহকদের উচিত নিজস্ব স্পিড টেস্ট করে দেখা এবং অভিজ্ঞতা প্রকাশ করা, যাতে অপারেটররা জবাবদিহিতার মধ্যে আসে।
তাদের মতে, “ফোনের স্ক্রিনে ৫জি আইকন দেখালেই হবে না, বাস্তব অভিজ্ঞতায় সেই গতি পৌঁছানোই আসল চ্যালেঞ্জ।”
কোন মন্তব্য নেই