কোরআন তিলাওয়াতকারীর ১০ অনন্য মর্যাদা: জান্নাতে সর্বোচ্চ স্থান অর্জনের পথ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

কোরআন তিলাওয়াতকারীর ১০ অনন্য মর্যাদা: জান্নাতে সর্বোচ্চ স্থান অর্জনের পথ

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

কোরআন তিলাওয়াতকারীর ১০ অনন্য মর্যাদা: জান্নাতে সর্বোচ্চ স্থান অর্জনের পথ


সংবাদ প্রতিবেদন:

মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ | অনলাইন ডেস্ক, টাইমস এক্সপ্রেস ২৪

কোরআন তিলাওয়াত শুধু একটি ইবাদত নয়, এটি মুমিনের জীবনে বরকত, প্রশান্তি ও মর্যাদার উৎস। পবিত্র কোরআন মানুষের অন্তর আলোকিত করে, তার আমলকে পরিশুদ্ধ করে এবং পরকালের মর্যাদা বৃদ্ধি করে। মহান আল্লাহ বলেন—

“আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন উত্তম বাণী সংবলিত কিতাব, যা পুনঃপুনঃ আবৃত্তি করা হয়। এতে যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের দেহ রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে।”
(সুরা ঝুমার, আয়াত ২৩)

নিচে কোরআন তিলাওয়াতকারীর জন্য হাদিস ও ইসলামী শিক্ষায় বর্ণিত ১০টি বিশেষ মর্যাদা তুলে ধরা হলো—


১. সর্বোত্তম মানুষ

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

“তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায়।”
(বুখারি, হাদিস ৫০২৭)


 ২. কোরআন তিলাওয়াতকারী মুমিন শ্রেষ্ঠতম

কোরআন তিলাওয়াতকারী মুমিনের উদাহরণ উত্রুজ্জা ফলের মতো—যার ঘ্রাণও সুন্দর, স্বাদও উৎকৃষ্ট।
(বুখারি, হাদিস ৫৪২৭)


 ৩. দুনিয়াতেও মর্যাদা লাভ

উমর (রা.) বলেছেন,

“আল্লাহ এই কিতাবের মাধ্যমে বহু জাতিকে মর্যাদায় উন্নীত করেন এবং যারা কোরআন পরিত্যাগ করে, তাদের লাঞ্ছিত করেন।”
(ইবনু মাজাহ, হাদিস ২১৮)


৪. আসমান ও জমিনে সম্মান

রাসুল (সা.) বলেন,

“কোরআন তিলাওয়াত করো; এটি তোমার জন্য জমিনে আলো ও আসমানে ধনভাণ্ডার।”
(সহিহ ইবনু হিব্বান, হাদিস ৩৬১)


৫. গাফেলদের তালিকা থেকে মুক্তি

প্রতিদিন নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করলে মানুষ গাফেলদের তালিকা থেকে মুক্ত হয়।
(সহিহ ইবনু খুজায়মাহ, হাদিস ১১৪২)


 ৬. পাপ নেকিতে পরিবর্তিত হয়

যে সমাজে আল্লাহর স্মরণ ও কোরআন পাঠ হয়, তাদের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং নেকিতে রূপান্তরিত হয়।
(মুসনাদ আহমাদ, হাদিস ১২৪৭৬)


 ৭. ঈমানি জ্যোতি বিকিরণ

জুমার দিনে সুরা কাহফ পাঠ করলে এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত ঈমান শক্তিশালী থাকে।
(সহিহুত তারগিব, হাদিস ৭৩৬)


 ৮. কোরআনের ধারক জাহান্নামে যাবে না

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

“যে অন্তরে কোরআন সংরক্ষিত আছে, আল্লাহ কখনো তাকে শাস্তি দেবেন না।”
(দারেমি, হাদিস ৩৩১৯)


 ৯. ফেরেশতাদের মর্যাদা লাভ

দক্ষ তিলাওয়াতকারী সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবেন, আর অদক্ষ তিলাওয়াতকারী দ্বিগুণ নেকি পাবেন।
(বুখারি, হাদিস ৪৯৩৭)


 ১০. জান্নাতে সর্বোচ্চ মর্যাদা

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

“কোরআন পাঠককে বলা হবে, কোরআন তিলাওয়াত করো এবং ওপরে উঠতে থাকো... কারণ তোমার শেষ আয়াতই জান্নাতে তোমার অবস্থান নির্ধারণ করবে।”


 উপসংহার

কোরআন তিলাওয়াত শুধু একটি আমল নয়—এটি মুমিনের আত্মিক শক্তি, ঈমানি জ্যোতি এবং পরকালের মুক্তির সোপান। যে ব্যক্তি কোরআন পাঠে অবিচল থাকবে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্যাদাশালী করবেন।

কোন মন্তব্য নেই