সারাদেশে শুরু টাইফয়েড টিকাদান অভিযান, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে টিকা দেবে সরকার - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

সারাদেশে শুরু টাইফয়েড টিকাদান অভিযান, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে টিকা দেবে সরকার

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সারাদেশে শুরু টাইফয়েড টিকাদান অভিযান, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে টিকা দেবে সরকার

স্বাস্থ্য ডেস্ক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ১১:০১

টাইফয়েড জ্বরের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমাতে আজ রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে সারাদেশে শিশুদের জন্য বিনামূল্যের টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (EPI)–এর আওতায় এই টিকা দেওয়া হবে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।


টাইফয়েড প্রতিরোধে বড় পদক্ষেপ সরকারের

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বলেন,

“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এই টাইফয়েড টিকাটি নিরাপদ ও কার্যকর। শিশুদের সুরক্ষায় এটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে টাইফয়েডজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।”


বিশ্বে ও বাংলাদেশে টাইফয়েডের ভয়াবহ চিত্র

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন এবং ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান
শুধু ২০২১ সালেই বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৮ শতাংশই শিশু

বিশেষজ্ঞরা জানান, টাইফয়েডের জীবাণু স্যালমোনেলা টাইফি সাধারণত দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ ও অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন–সম্পন্ন এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।


টিকাই সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ

ওষুধ–প্রতিরোধী টাইফয়েডের (Antibiotic-resistant Typhoid) বিস্তারের কারণে প্রচলিত চিকিৎসা অনেক সময় অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে টিকাদানই এখন সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশা করছে, এই জাতীয় ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টাইফয়েড সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে এবং দেশের জনস্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।


সচেতনতা কর্মসূচিও চলবে পাশাপাশি

সরকার জানিয়েছে, টিকাদানের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হবে। এর মাধ্যমে শিশুদের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন অভ্যাস ও সুস্থ জীবনধারার প্রতি উৎসাহিত করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই